ইসলামী ব্যাংক থেকে স্ত্রীকে চাকরিচ্যুত করার পর মানসিক চাপে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের নাম লিটন দাশ (৪৮)।লিটন দাশ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সুচক্রীদন্ডী এলাকার সুবিমল দাশের ছেলে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর স্ত্রী অর্পন্না দত্ত ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা ধনিয়াপাড়া শাখায় সহকারী অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। গত রবিবার রাতে তাকে ব্যাংক থেকে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়।পরিবারসূত্রে জানা গেছে, অর্পন্না দত্ত বহু বছর ধরে ইসলামী ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু গত রবিবার হঠাৎ করেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরিচ্যুতির চিঠি প্রদান করে। টার্মিনেশনের খবরটি গোপন রেখে তিনি স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে সেদিনই পটিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
ঢাকায় পৌঁছার পর অর্পন্না তাঁর স্বামীকে জানান— “আমার চাকরি চলে গেছে, তাই মালপত্র নিতে এসেছি।” এই সংবাদ শোনার পর লিটন দাশ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মঙ্গলবার সারাদিন তিনি চরম উদ্বেগ ও অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন। পরদিন বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসকরা জানান তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।ইসলামী ব্যাংকের সিলেট হবিগঞ্জ শাখার টার্মিনেশনপ্রাপ্ত সহকারী অফিসার আবু তৈয়ব সোহেল জানান, অর্পন্না দত্তের টার্মিনেশন ও তার পরবর্তী মানসিক চাপে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে প্রায় ৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টার্মিনেশন করা হয়েছে। আবু তৈয়ব সোহেলের বোনকেও গতকাল (মঙ্গলবার) চাকরিচ্যুত করা হয়। উল্লেখ্য টার্মিনেশন হওয়া অধিকাংশ কর্মকর্তার বাড়ি চট্টগ্রাম ও পটিয়া এলাকায়।