• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
আইসিবিআই ব্যাংকের এসভিপি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান হলেন বাঁশখালীর মান্নান আশরাফ ফকির হত্যা: অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা, স্ত্রী-ছেলে কারাগারে হাটহাজারীর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিশ্ব মঞ্চে মোহাম্মদ ইকবাল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেড় বছরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে : আমীর খসরু ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় বাঁশখালীর যুবকের মৃত্যু বিএনপির প্রার্থী তালিকায় অনুপস্থিত শীর্ষ নেতারা এনসিপির দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হলেন বাঁশখালীর মিশকাত বাঁশখালী নিয়ে লেয়াকত আলীর ধারাবাহিক লেখনী ভাইরাল হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন কঃ – প্রেমের বাদশাহর রাজকীয় উপাখ্যান বাঁশখালীতে গণঅধিকারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

চাঁদাবাজি নয়, পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টায় গ্রেফতার হয়েছিলেন শাওন

বিএক্স ডেক্স নিউজ / ৫৪২ শেয়ার
আপডেট: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাওনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে। ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার কাছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ইদ্রিস নামে এক ব্যক্তিকে আটক করার পর গতকাল রাতে পুলিশ নাছির উদ্দীন শাওনকেও গ্রেফতার করে।

তদন্ত করে জানা গেছে, নাছির উদ্দীন শাওন মূলত অন্য এক ব্যক্তির পাওনা টাকা উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন। আটক ইদ্রিস, যিনি বাঁশখালীর বাসিন্দা, মামলার বাদী নাঈম আহমেদের কাছে টাকা পান। অভিযোগ রয়েছে, নাঈম আহমেদ হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং তিনি পান্থপথ এলাকায় “ট্রিপজায়ান” নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক।

নাঈম আহমেদ টাকা না দিয়ে নানা অনিয়মের আশ্রয় নেন। পরে ইদ্রিস তার পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য স্থানীয় নাছির উদ্দীন শাওনের সাহায্য চান। এর পর থেকেই ঘটনাপ্রবাহ জটিল হয়ে পড়ে এবং মামলার সূত্রপাত ঘটে।

অভিযোগ রয়েছে, মামলাকারী প্রশাসনকে প্রকৃত দেনা-পাওনার বিষয়টি না জানিয়ে অপহরণ ও টাকা দাবির অভিযোগে মামলা করেন।

রাজনৈতিক মহল বলছে, প্রশাসনের উচিত ঘটনাটি ধামাচাপা না দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা। একই সঙ্গে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা ও গ্রেফতার করানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলাকারীর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই বিষয়ে নাছির উদ্দিন শাওন বাঁশখালী এক্সপ্রেস কে বলেন, যে ব্যাক্তির একাউন্ট থেকে নাঈম এর একাউন্ট এ টাকা দে ইদ্রিস সে ব্যাক্তি আমার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করেন এবং আমার আত্মীয়ও। বিপদে পড়ে তার পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আমি পান্থপথ ট্রিপজায়ান’ ট্রাভেল এজেন্সিতে গিয়ে দেখি এই ঠিকানায় নাঈম শেখ এর কোন অফিস নেই। পরবর্তীতে ওই ঠিকানায় অফিস না থাকায় আমাদের মধ্য একটি সন্দেহ সৃষ্টি হয়। সন্দেহের জায়গা থেকে নাঈম শেখকে আমরা গুলশান এলাকায় খোঁজ পায়। সেখানে বিষয়টি সমাধানের জন্য চাপ দেয়। তিনি বিষয়টি সমাধান না করে গুলশান থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

শাওনের দাবি, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

ছাত্রদল নেতা শাওন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে স্বীকার করে নাঈম শেখ বাঁশখালী এক্সপ্রেস কে বলেন, সাইফুল নামের এক ব্যাক্তি আমার একাউন্টে ৩৭লাখ ৫০ হাজার পাঠায়। পরবর্তীতে সাইফুলের দেওয়া তিনটি একাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ইদ্রিস নামে একজন আমার কাছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা তার বলে দাবি করে। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিষয়টি একদম ভুল বুজা-বুজি।

তিনি আরও জানান নাছির উদ্দিন শাওন আমার কাছে পাওনার টাকা বুজিয়ে দেওয়ার চাপ দেয়। এখানে শাওন কোন টাকা চাঁদা দাবী করেন নি ,সে যড়যন্ত্রের শিকার ,কোর্টে আমার সাক্ষ্যর প্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল জামিন হয়। আমি একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছি। বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ
সিবি হসপিটাল কী? কেন? কিভাবে?