আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সামনের সারিতে থাকা একটা দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বহুমাত্রিক ঝুঁকি ও প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। কোন সন্দেহ নাই আরো বেশি মোকাবিলা করতে হবে সামনের দিনগুলোতে। সেইজন্য দরকার প্রস্তুতি।
বিশ্বব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এখন একটা বড় রাজনৈতিক এজেন্ডা। জাতিসংঘ এ বিষয়ে প্রতিবছর বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করে চলছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে উপকূলীয় যে বেল্ট, তার মধ্যে বাঁশখালী অংশের মতো অবহেলিত, ঝুকিপূর্ণ কোন অংশ আমার জানা মতে নেই।
আমাদের এই উপকূলীয় এলাকা থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করতে আগ্রহী অনেক শিক্ষিত তরুন থাকার কথা কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেরকম আগ্রহী তরুন এই জনপদে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হয়তো অবহেলিত থাকার পিছনে এটাও একটা কারণ।
বাঁশখালীতে শিক্ষার হার তুলনামূলক বেশি, শিক্ষিত যুবসমাজও বেশ বড়। এলাকা ভিত্তিক সামাজিক সংগঠনও কম নয়। কিন্তু কম-বেশি সবারই ক্যারিয়ার আগ্রহের জায়গা এক — বিসিএস বা অন্য কোন সরকারি চাকরি। এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। সমাজে প্রত্যক্ষ ক্ষমতা আছে এমন চাকরি ছাড়া অন্য কিছু আমাদের তরুনদের টানে না। যদিও সম্প্রতি কিছু তরুন ব্যাংকে গিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ কিছুটা ক্রিয়েটিভ, গবেষণা মুলক ও ইংরেজি দক্ষতার প্রয়োজন আছে। সামনের দিনে গ্রীন জবস দিন দিন বাড়বে। এটা যেহেতু একটা বৈশ্বিক ঘটনা, এটার ক্যারিয়ার নেটওয়ার্কও তেমন বিস্তৃত।
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় তরুনদের কোন বিকল্প নেই। ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠী ও জনপদ থেকে যেসব তরুন এই কাজে আসবে তাদের কাজের প্রভাব ও মুল্যায়নও হবে বেশি।
বাশঁখালীতে জলবায়ু মোকাবিলায় অনেক শিক্ষিত সচেতন আগ্রহী তরুণদের এগিয়ে আসা দরকার। এই কাজ শুরু হতে পারে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা অবস্থায়। ছাত্র অবস্থায় নিজের পছন্দের জায়গা খুঁজে বের করা ও ধিরে ধিরে নিজের মোটিভেশান বিল্ডআফ করা গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো কাজে চাকরি প্রার্থীর আগ্রহ ও মোটিভেশান দেখে সবার আগে।