কুড়িগ্রামে আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ৯টি উপজেলার কৃষকরা। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করছে শীত কালিন সবজি।
এদিকে জমি চাষ, শাক-সবজি রোপণ ও তোলা, কীটনাশক স্প্রে, সার ছিটানো, জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন কৃষকরা। সবাই যেন আগাম শাক-সবজি বাজারে তোলার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
সরে জমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলার নিচু জমিতে রয়েছে ধানসহ বিভিন্ন ফসল। আর অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে লাগানো হচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, করলা, বেগুন, মুলা, লাউ, পটল, বরবটি, গাজর শসাসহ নানা জাতের শীতকালীন সবজি।
ভোর থেকে শাক সবজি খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ ফুলকপি খেতে আগাছা কাটছে আবার কেউবা স্প্রে করছে। কেউ সবজি খেতের পরিচর্যা করছে।
রাজারহাট উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের মীরের বাড়ি এলাকার কৃষক আসমত হোসেন বলেন, ‘এবারও অধিক মুনাফার আশায় এক একর জমিতে আগাম ফুলকপি লাগিয়েছি। খেতে স্প্রে, কখনো আগাছা পরিষ্কার সহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছি।’
একই ইউনিয়নের কৃষক রহমত আলী বলেন, ‘লাভের আশায় এক একর জমিতে আগাম ফুলকপির চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। গাছে ফুলকপি ধরতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন মাস। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে, বাজার দর ভালো থাকলে লাভবান হবো।’
একই ইউনিয়নের ঝাড়খোলা গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম বলেন, ‘বারো শতক জমিতে আগাম মুলার চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজার দর ভালো পেলে লাভের আশা করছি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর কুড়িগ্রামে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত হাজার ২শ হেক্টর জমিতে। তারমধ্যে আগাম শীতকালীন শাকসবজি চাষ হয়েছে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অধিক মুনাফা অর্জনের আশায় কৃষকরা এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজির চাষাবাদ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব সময় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : পারুল আকতার
ইমেইল : banshkhaliexpress@gmail.com
www.banshkhaliexpress.net | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত | © CW26020