চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপকূলে প্রায় ৩০টির অধিক লবণবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে ২৩ জন। কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে বুধবার (৮ মে) ভোরে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা'বাঁশখালী উপকূল থেকে তিন থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে ও শঙ্খ নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইতমধ্যে বাঁশখালী উপকূলে স্থানীয় মাঝিমাল্লারা ৪জন, আনোয়ারা উপকূলে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ উদ্ধার করেছে ১৮জনকে।
[caption id="attachment_2767" align="aligncenter" width="300"] আনোয়ারা উপকূলে উদ্ধার হওয়া মাঝিমাল্লা[/caption]
খানখানাবাদ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল হক জানান, আমাদের স্থানীয় মাঝিমাল্লাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা একটি বোট পাঠাই। আমাদের উদ্ধারকারী বোটের সদস্য ছিলেন মোঃ বোরহান উদ্দিন, কলিম উদ্দীন, মোঃ আবু তৈয়ব, জামাল মোল্লা। তাঁরা সাগরে ভাসমান অবস্থায় ৪জন মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, খানখানাবাদ উপকূলে উদ্ধার হওয়া মাঝিরা হলেন মাল্লারা হলেন ছাবের মাঝি, পিতা লালু ছেরাং নুরুল কাদের, পিতা- মনর আলী, তোফায়েল আহমেদ পিতা- মৃত মজিদ আলী, আবদুল মজিদ পিতা - আবদু শুকুর কে উদ্ধার করেন। এরা সকলে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ওলুবুনিয়া এলাকার বাসিন্ধা।
[caption id="attachment_2768" align="aligncenter" width="300"] বাঁশখালী উপকূলে ট্রলার ডুবিতে উদ্ধার হওয়া মাঝিমাল্লা[/caption]
উদ্ধার হওয়া ছাবের মাঝি বলেন প্রায় ৩০টির বেশি বোট লবণ বোঝায় করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আমাদের আশেপাশে প্রায় ৫টি ট্রলার ডুবে যেতে দেখেছি। কোনভাবে ভেসে থেকে প্রাণ রক্ষার যুদ্ধ চালিয়ে গেছি। বাঁশখালীর এই উদ্ধারকারী টিম আমাদের প্রাণ বাঁচায়।
[caption id="attachment_2769" align="aligncenter" width="300"] বাঁশখালী উপকূলে ট্রলার ডুবি[/caption]
এদিকে নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে ১৬ ট্রলার লবণবোঝাই করে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। আনোয়ারা উপকূল থেকে চার পৌঁছালে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারগুলো ডুবে যায় । কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ চার ট্রলার থেকে ১৮ মাঝি-মাল্লা ও শ্রমিক উদ্ধার করে। নিখোঁজ অন্যান্যদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ।
[caption id="attachment_2770" align="aligncenter" width="300"] আনোয়ারা উপকূলে ট্রলার ডুবিতে উদ্ধার তৎপরতা[/caption]
উদ্ধারকৃতরা হলেন, এমভি আল্লাহর দান ট্রালের মাঝি জিয়া উদ্দিন, এমভি তৌফিক ইলাহির মাঝি মানিক মানিক, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ মানিক, মনসুর উদ্দিন, বদি আলম, আবু হানিফ, জাবেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আনিস, মোহাম্মদ আহিম, সোহেল মিয়া। তারা বাঁশখালী উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
বার আউলিয়া ঘাট নৌপুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত জানান, লবণবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় চারটি ট্রলারের উদ্ধার হওয়া ১৮ জনের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে, ১২ জন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আর চারজন কোস্ট গার্ড স্টেশনে আছে। উদ্ধার কাজ চলমান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : পারুল আকতার
ইমেইল : banshkhaliexpress@gmail.com
www.banshkhaliexpress.net | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত | © CW26020