কর্মীরা তাকে ডাকেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির মাঠে তাঁকে নিয়ে আলোচনা জোরেশোরে চলছে। তারই পোশাকি রিহার্সাল দেখা গেল গতকাল (রবিবার) বিকেলে বাঁশখালীর একটি সমাবেশে। স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাঁশখালী তৃণমূল আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মহফিল ও স্মরণে সভায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ নেতা কর্মীদের উপস্থিতি বলে দেয় প্রচলিত পদ পদবি না থাকার পরেও তৃনমুল রাজনীতিতে তাঁর জনপ্রিয়তা একটুও ভাটা পড়েনি।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, আবদুল্লাহ কবির লিটন বাঁশখালীর আওয়ামী রাজনীতির হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তৃনমূল আওয়ামিলীগ এর অভিভাবক। লিটন ভাই আমাদের মাঝে রাজনীতির ক্ষুধাটা তৈরী করে দিয়েছেন। আমাদের মাঝে কাবিকা, টিআর, অনৈতিক সুবিধা নেয়ার নেশা কখনো কাজ করেনি বলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক রাজনীতির পাঠ আমাদের জন্য বড় বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ক্ষুদ্র শিক্ষার্থী লিটন ভাই। আমরা সেই শিক্ষার্থীর অনুগামী।
আব্দুল্লাহ কবির লিটনের অনুসারী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নেতা বলেন, প্রচলিত রাজনীতিতে পদপদবী না থাকলে তৃনমূলে নেতাকর্মী ধরে রাখা শুধু চ্যালেঞ্জ নয়
অসম্ভব একটা চিন্তা বটে। সে জায়গায় আবদুল্লাহ কবির লিটন সমুজ্জ্বল ও ব্যতিক্রম বটে। নিজের ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব গুণে বিশাল কর্মী বাহিনী ধরে রেখেছেন তাঁর শক্তিটাই এই জায়গায়।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌঁড়ঝাপ বেড়েই চলছে। রাজনৈতিক সচেতন মহল লিটন সাহেবের সমাবেশকে নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব জানান দেয়ার কর্মসূচি হিসেই দেখছেন। এবং তা যদি হয়েও থাকে তবে তিনি তা ভালভাবে করতে পেরেছেন সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মাহফুজুল হক চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ কবির লিটন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনতা ব্যাংক সিবিএর সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জসিম উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রনতোষ দাশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইউনুস, জলদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার নুরুল আলম, মোঃ মোর্শেদ আলম, মাহবুবুল আলম, তবারক হোসেন নিয়ামু, শাহাদাত রশিদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরুল আবচার চৌধুরী, শওকত, মুহসিন, হোসাইন, বখতেয়ার উদ্দিন করিম, ফরহাদুল আলম, গন্ডামারা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকেরুল হক সিকদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক খোরশেদ পাশা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনছারুল হক আদিব, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা আরিফুজ্জামান, ইউপি সদস্য মোঃ দিদার, মোঃ মনছুর, মোঃ হানিফ, মাহমুদুল ইসলাম বদি, মো: নোমান, পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল জাব্বার, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আনিসুল হক চৌধুরী, জিয়া উদ্দীন আরিফ, আমিনুল হক ইফতি, ইমরুল হাসান রিমন, নুর হোসাইন, রাশেদ আলী, নুরুল আলম,মুনির উদ্দিন চৌধুরী, মিজানুর রহমান বাবলু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ কবির লিটন বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাঁশখালীতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি একাট্টা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য কর্মী বাহিনীর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের তারা মনে করেছিল আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া গেছে। কিন্তু তারা ভাবেনি একজন ব্যক্তি মুজিব কে হত্যা করা গেলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যায়না। বঙ্গবন্ধুর ক্ষুদ্র একজন কর্মীও বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। তারা জানবাজি রেখে বাঁচিয়ে রাখতে জানে দেশের স্বপ্ন, দশের স্বপ্ন। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে। বাঁশখালীতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।