বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), গাজীপুরে আয়োজিত “কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ ও ধারণা প্রতিযোগিতা ২০২৫”-এর চূড়ান্ত পর্বে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত শীর্ষ ৪৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে দেশসেরা চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুন নূর। তার পিতা ওসমান গনি বাদশাহ এবং মাতা খালেছা বেগম। গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার পুইছড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আরবশাহ ঘোনায়।
তার উদ্ভাবনী প্রজেক্ট “Smart Soil Health Blanket: A Biodegradable Agro-Textile Innovation” বিচারকদের বিশেষ প্রশংসা কুড়ায়। প্রজেক্টে ধানখড়ি, কলাগাছের ফাইবার, জুট ফাইবার ও কচুরিপানা ব্যবহার করে জৈব-ভিত্তিক মাল্চ শীট তৈরি করা হয়েছে, যা প্লাস্টিক মাল্চের টেকসই বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। এই মাল্চ শীট মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা, জৈব উপাদান বৃদ্ধি, নগর কৃষি ও ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
প্রতিযোগিতার প্রথম পর্যায়ে দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০টিরও বেশি আইডিয়া জমা পড়ে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেরা তিনটি আইডিয়া জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে নির্বাচিত শীর্ষ ৪৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে আব্দুন নূর চতুর্থ স্থান অর্জন করেন।শিক্ষাজীবনের শুরু বাঁশখালীর আল-আমিন বারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে। ২০১৫ সালে জেডিসি ও ২০১৮ সালে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন ৩.৯৫ সিজিপিএসহ। বর্তমানে তিনি ডুয়েটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে বিএসসি অধ্যয়নরত।
শিক্ষাজীবনে তার উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—
• ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান• AUST Textile Innovation Competition – চ্যাম্পিয়ন• ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড ২.০ – প্রথম রানার-আপ• TEXBIZ আর্টিকেল রাইটিং প্রতিযোগিতা – সম্মাননা• একাধিক কুইজ, কনটেন্ট রাইটিং ও পোস্টার প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্তি।
আব্দুন নূর জানান, সাউথ এশিয়ান স্টুডেন্ট কাউন্সিল-এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এবং এডুকেশন ও রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন। এই অর্জনে তৃপ্তি প্রকাশ করে আরো জানান, ভবিষ্যতে টেকসই কৃষি ও টেক্সটাইল উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।