চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেলেন মায়াবী চেহারার তাহমিম

সবার আদরের তাহমিম সবাইকে কাঁদিয়ে চলেন না ফেরার দেশে। ১৯ ডিসেম্বর মিষ্টি চেহারার তাহমিম সবার অলক্ষ্যে খেলতে কখন যে বেরিয়ে যায় সবার অলক্ষ্যে কেউ ঠের পায়নি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলে খাবারের জন্য তালাশ করলে সামনে আসে নিখোঁজ বিষয়টি। চারপাশে সন্ধান করে না মিললে বাঁশখালী থানায় জিডি করা হয়। এই নিয়ে বাঁশখালী এক্সপ্রেস নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করলে শতাধিক শেয়ার হলেও বরাবরের মত ফিরে পাওয়ার স্বস্থির সংবাদ দিতে পারিনি আমরা। বরং তিন দিনের মাথায় অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে মায়াবী চেহারার তাহমিম আর কখনো আমাদের কাছে ফিরবে না।

আজ (২১ ডিসেম্বর) সকালে বাড়ির পাশেই পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। ঠোঁটের কিনারে রক্ত আর ছিড়ে গেছে কিছুটা। অনেকের ধারনা শত্রুতার জের ধরে তাহমিম কে হত্যা করা হতে পারে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহত পুইছড়ি ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম পুঁইছড়ি আবদুর পাড়া এলাকায় নুরুল আলমের ছেলে।

নিহত তাহমিমের চাচা মাষ্টার আব্দুর রহিম জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর দুপুর ১টা থেকে তাকে খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করা হয়েছিল। তার সন্ধান চেয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছিল। আজ সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অনেকে বলছেন এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, কাউকে সন্দেহ হয় কিনা? জবাবে তিনি বলেন চোখে দেখিনি একমাত্র উপরওয়ালা জানেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বলতে পারব কি হয়েছে। যদি তেমন কিছু হয়ে থাকে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, নিখোঁজের তিন দিন পর গতকালকে জিডি করেছিল। আজকে ওই শিশুর লাশ পুকুরে ভেসে উঠেছে। আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। সুরতহাল প্রতিবেদন আসলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।

আরও পড়ুন  বাঁশখালীতে এ.বি.এম. মোকাম্মেল হক চৌধুরী'র পক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *