আমেরিকাস্থ বাঁচাও সংগঠন এবং ছাবের আহমদ মাস্টার স্মৃতি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতা এবং কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সহায়তায় দিনব্যাপী ১১৫০ জন রোগীর চক্ষু পরীক্ষা ও ৩০৮ জন রোগীর ছানি অপারেশন কার্যক্রম গত ২৮ ডিসেম্বর বাঁশখালী বাহারচরা রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

ছাবের আহমদ মাস্টার স্মৃতি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শিক্ষা সংগঠক মুহাম্মদ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আমেরিকাস্থ বাচাঁও সংগঠনের পরিচালক এ.এইচ.এম.কুতুব উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁচাও সংস্থার ডোনার শামীম আরা কুতুবউদ্দীন, বাঁচাও সংগঠনের এ্যাম্বাডেসর মাইশা সালাউদ্দীন, নোয়াখালী জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেন, রোটারি ক্লাব ডাউন টাউনের সাবেক সভাপতি রফিক আহমদ চৌধুরী,বাহারচরা রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন চৌধুরী,সহকারী প্রধান শিক্ষক মনজুর আলম, চক্ষু শিবির কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক বিশ্বজিৎ পাল প্রমুখ।

উল্লেখ্য প্রতিবছর এ কার্যক্রম যৌথভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ বছর ১১৫০ শত রোগীর পরীক্ষা করা হয়। তন্মধ্যে ৩০৮ জন রোগী ছানি পরীক্ষার জন্য সনাক্ত করা। দৈনিক ৩০ জন রোগীকে বাঁচাও সংগঠন এবং ছাবের আহমদ মাস্টার স্মৃতি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় এবং কক্সবাজার বায়তুশ শরফের হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়তায় এ ছানি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

২০২৪ সালে জুনমাসে উক্ত ক্যাম্পের অধীনে চিকিৎসা গ্রহন করে ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ পরিবারকে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা এবং আহত ৫ পরিবারের প্রত্যেককে নগদ ৩০ হাজার টাকা নগদ আর্থিক সহযোগিতাও প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। উল্লেখ্য ২০১১ সাল থেকে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।এ পর্যন্ত ২৫ হাজার রোগী পরীক্ষার আওতায় এসেছে এবং প্রায় ২৬ শত রোগীর ছানি অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও বাঁচাও সংগঠন এবং ছাবের আহমদ মাস্টার স্মৃতি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২০০ রিং টয়লেট বিতরণ করা হয়,বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ৪৫০০ টি স্কুল ব্যাগ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থদের জন্য ১৫ টি টয়লেট স্হাপন করেন।সভায় বক্তারা বলেন মানুষের চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা এবং দরিদ্র মানুষের নানাবিধ কল্যাণে ছাবের আহমদ মাস্টার স্মৃতি সংস্হা এবং আমোরিকাস্হ বাঁচাও সংগঠন আর্থিক এবং কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা সহায়তার যৌথ প্রচেষ্ঠায় দীর্ঘ ১৩ বছর এ বৃহত্তর সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

যা ইতিমধ্যে সমগ্র বাঁশখালীতে সকল মানুষের কাছে প্রশংসনীয় হয়েছে। বক্তারা বলেন মহতি কাজগুলো বাস্তবায়নে সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা সবসময় আমাদেরকে অণুপ্রাণিত করছে। বক্তারা আরো বলেন এ সেবা কার্যক্রম সকলের সহযোগিতায় সবসময় চালু রাখার প্রত্যাশা করি।সাথে সাথে চক্ষু শিবির ছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসা সেবা বিষয়েও ভবিষ্যত সংস্হা দুটো উদ্যোগ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বক্তারা এরকম মহতি কার্যক্রম পরিকল্পনা সমাজের অন্যান্য বৃত্তবানদেরও উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।