মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন ◾
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার মাঝখানে শঙ্খনদের উপর নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুর পিলার সাথে আটকে আছে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত (ড্রেজিং) পাইপ। শঙ্খনদের তীব্র স্রোতে ওই পাইপের সাথে ধাক্কা লেগে পিলারের ভিত্তি নড়বড়ে হওয়ার আশংকা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে নেমে আসা বালু তোলার পাইপের সারি আটকে গেছে তৈলারদ্বীপ সেতুর পিলার সাথে। শঙ্খনদের তীব্র স্রোতে পাইপের সারি ভাসমান থাকায় পিলারের ভিত্তি নড়বড়ে হওয়ার আশংকা রয়েছে। শুক্রবার রাতে এসব পাইপ আটকে গেলেও এখনো এসব কাদের তা জানা যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে এসব পাইপ সাতকানিয়া বা চন্দনাইশের যেকোনো এলাকা থেকে এসব পাইপ চলে এসেছে।
সওজ সূত্র জানায়, ৮০র দশকে সরকার আনোয়ারা-বাঁশখালীর সাধারণের পারাপারের জন্য তৈলারদ্বীপ-চাঁনপুর পয়েন্টে ফেরী সার্ভিস চালু করে। পরে ২০০১ সালে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকায় তৈলারদ্বীপ সেতুর নির্মানকাজ শুরু করে। সে বছর ১৭ জানুয়ারী শেখ হাসিনা সেতুর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আর ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তৈলারদ্বীপ সেতু উদ্বোধন করে যাতায়তের জন্য খুলে দেন।
শনিবার দুপুরে তৈলারদ্বীপ সেতুর উপর গিয়ে দেখা যায়, সেতুর ৫ নং পিলারের সাথে আটকে আছে পাইপের সারি। এসব পাইপে স্রোতের ধাক্কা খেয়ে পানি দুপাশে প্রসারিত হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার রাতে এসব পাইপের সারি আটকে গেলে স্থানীয়রা এসব দেখতে ভীড় করেন। শনিবার দুপুরেও এসব সরানো হয়নি।
স্থানীয় বারখাইন ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন, তৈলারদ্বীপ সেতুর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ড্রেজারের পাইপ আটকে আছে। এতে করে পিলারের ভিত্তিতে আঘাত আসতে পারে।
জানতে চাইলে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, তৈলারদ্বীপ সেতুর পিলারের সাথে ভাসমান পাইপ আটকে থাকার বিষয়টি জানিনা। তবে এরকম হয়ে থাকলে সেতুর পিলারের জন্য এটি সমস্যার সৃষ্টি হবে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।