কোলে ১ বছরের অবুঝ শিশু। বাঁশখালী এক্সপ্রেসের নম্বরে ফোন দিয়ে কান্নাকাটিতে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির অবতারণা হলো। কেউ হয়তো বলেছে সংবাদ হলে দ্রুত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নজরে আসবে। তারা আরো বেশি তৎপর হবেন। কান্নার জন্য রোকসানার কথাগুলো বুঝতে কষ্ট হচ্ছিল। এরপরেও রোকসানা যা জানালো তার সারমর্ম রোকসানার স্বামীর নাম মো. মহিউদ্দিন (২৫)। তিনি গন্ডামারা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার মোকতার আহমদের পুত্র। তবে মহিউদ্দিন একই ইউনিনের ১নং ওয়ার্ডের সাহেবের বাড়ির আহমদ মিয়ার ঘরে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। অপহরণকারীদের কাছে আমার স্বামী জিম্মি, আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই
মহিউদ্দিনের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের একটি বেসরকারি হাসপতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মহিউদ্দিনের ফুফো শ্বাশুড়ি। তাঁকে দেখতে সোমবার সকালে সেখানে গেলে অপহরণের শিকার হন তিনি। সারাদিন ঘরে না ফেরায় সোমবার বিকেলে তাঁর স্ত্রী মোবাইলে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে, সন্ধ্যার দিকে কয়েকটি নাম্বার থেকে মহিউদ্দিনের স্ত্রী রোকসানার নম্বরে ফোন দিয়ে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় এবং অপহরণকারীরা মিয়ানমারে অবস্থান করছে বলে জানায়।
এদিকে, এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর পিতা মোকতার আহমদ।
বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বাঁশখালীতে নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। বিকাশ নম্বরগুলো কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বলে মনে হচ্ছে। আমরা কক্সবাজার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।