এক অত্যন্ত মর্মান্তিক ও জঘন্য ঘটনায়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা থেকে নিজের ১১ বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৪৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে তাকে তার নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়। এই ঘটনা সমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরীফ এই জঘন্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০২০) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার থানা মামলা নম্বর ২০। এই আইন শিশুদের সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপের বিধান রাখে এবং এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে মহিউদ্দিনের বিয়ে হয় এবং তাদের ৪টি সন্তান রয়েছে। গত ২৫ মে সকালে এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটে। সেই দিন মহিউদ্দিন তার ছোট মেয়ের কাছে চকলেট ও চিপস নিয়ে যান। কিন্তু এই ছলে তিনি শিশুটিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন। ভয়ে শিশুটি প্রথমে চুপ করে থাকলেও, পরবর্তীতে এই ভয়াবহ ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এরপর গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর আজ সকালে তাকে কর্ণফুলী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরীফ নিশ্চিত করেছেন যে, “অভিযুক্তকে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।” এই দ্রুত পদক্ষেপ সমাজের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে আইন কঠোর অবস্থানে আছে।

এই ঘটনা আবারও আমাদের সমাজে শিশুদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়টি সামনে এনেছে। আশা করা যায়, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধী কঠোরতম শাস্তি পাবে এবং এই ধরনের জঘন্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।