Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পাঁচ মাসেই কোরানে হাফেজ

মাত্র পাঁচ মাসে পবিত্র কোরআন শরীফ মুখস্থ করে কোরআনের হাফেজ হলেন বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পুর্ব ইলশা গ্রামের মাওলানা নুরুন্নবী আজিজীর কন্যা দারুল কারীম মাদরাসার মহিলা হিফজখানার ছাত্রী নাদিয়া সুলতানা আজিজা।

নাদিয়া একজন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী। সে রায়ছটা প্রেমাশিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীতে পড়ে। করোনাকালী সময়ে নাদিয়ার স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। এসময়ে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক থেকে দূরে সরে গেলেও নাদিয়ার বাবা সে সময়টিকে কাজে লাগান দারুণভাবে। সে সুযোগে তার কন্যা নাদিয়া সুলতানা আজিজাকে স্কুল বন্ধের সময়ে গত বছরের অক্টোবর মাসে বাঁশখালী পৌরসভাস্থ দারুল কারীম মহিলা মাদরাসার হিফজখানায় ভর্তি করিয়ে দেন। সল্প সময়ে নাজেরা শেষে করে চলতি বছরের ৩০ মে তার হিফজের সবক শুরু হয়। সর্বমোট ৫ মাস (১৫০ দিন) তার হিফজ সম্পন্ন হয়।

দারুল কারীম মাদরাসা ও মহিলা হিফজখানার প্রতিষ্টাতা পরিচালক সাংবাদিক শফকত হোছাইন চাটগামী বলেন, করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় নাদিয়া সুলতানা আজিজা স্কুল থেকে এসে মাত্র ৫ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছেন। গতকাল (১ নভেম্বর) সোমবার তার হিফজের সবক সম্পন্ন হয়। ৫ মাস পুর্বে বিগত ৩০ মে তার হিফজের সবক শুরু হয়েছিল। ১১ বছরের শিশু নাদিয়া স্কুলে এবার ৭ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থী। সে অত্যান্ত মেধাবী, অত্যান্ত নম্র ভদ্র। মাত্র পাঁচ মাসে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর কোরআনের হাফেজ হওয়ার বিষয়টি অনেকের হৃদয়ে নাড়া দেবে। অনেকে আদুরে সন্তানদের কোরআনের হাফেজ করার সৌভাগ্য অর্জন করার স্পৃহা খুঁজে পাবে নাদিয়াকে দিয়ে।

উল্লেখ্য, বাঁশখালী জলদী দারুল কারীম মাদরাসার মহিলা হিফজখানায় বর্তমানে ৩ জন হাফেজা/শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে ৬৫ জন ছাত্রী অধ্যায়নরত আছেন। তাছাড়া দারুল কারীমের মুল পুরুষ শাখায়ও বর্তমানে হাফেজ সাহেবের সংখ্যা ৫ জন। ১১ জন শিক্ষক শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে এখানে ২ শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যায়নরত আছেন। সাড়া জাগানো ইসলামিক স্কলারদের উপস্থিতিতে প্রতিবছর হেফজ সম্পন্নকারী ছাত্র ছাত্রীকে হিফজ সমাপনী পাগড়ি ও সম্মাননা প্রদান করেন ওই মাদরাসা।

আরও পড়ুন  শিক্ষক কন্যা জান্নাতুলের স্বপ্ন পূরণ