বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ বরগুনার তালতলীতে কবির হোসেন (৩৫) নামের এক জেলের ‘পুরুষ অঙ্গ’ কর্তনের অভিযোগ ভাতিজীর বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে ভিকটিমকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কি কারণে এই ঘটনা ঘটছে তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। আহত কবির হোসেনের বাড়ি তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ছকিনা গ্রামে। কবির ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। গত আট বছর আগে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের মরা নিদ্রা গ্রামে বিয়ে করেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, একই গ্রামের দুঃসম্পর্কিত ১৭ বছরের ভাতিজিকে কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলো কবির। বৃহস্পতিবার রাতে ভাতিজির বাড়িতে তাকে একা পেয়ে গায়ে হাত দিলে কবিরের ‘পুরুষ অঙ্গ’ কেটে দেয় ভাতিজী।

নিজেকে রক্ষা করতে দৌড়ে বাহিরে গেলে স্থানীয়রা কবিরকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ভাতিজী জানান, কবির সম্পর্কে চাচা হলেও এর আগে তার বড় দুই বোনকে উত্ত্যক্ত করতো। আজ তার বাবা ও মা পাশেই শুটকি শুকানোর কাজে গেলে সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে চাচা কবির। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে হাত দিলে পাশে থাকা দাও দিয়ে তার ‌‘পুরুষ অঙ্গ’ কেটে দেয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আহত কবির বলেন, ওই মেয়েদের বাড়ির পাশে আমার শুটকির ব্যবসা আছে। শুটকি চুরি হয় বিধায় পাহারা দিচ্ছিলাম।

এসময় দুটি ছেলে দেখে তাদের পিছু নিয়ে ওই বাড়ির কাছে গেলে তারা আমাকে ধরে নিয়ে মারধর করে এবং আমার ‘পুরুষ অঙ্গ’ কেটে দেয়।

এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কালাম খান বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন  পটুয়াখালীতে বিদেশি পিস্তলসহ বিএনপি নেতা আটক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *