সারাদেশে নতুন ঘর পেলেন আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবার। মুজিববর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন সব অসহায় মানুষকে নতুন ঘর উপহার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার আওতায় এসব ঘর বিতরণ করা হয়। রবিবার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন, গৃহহীন এসব পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৪০টি ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুশি হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ভার্চুয়ালী এসব ঘর ও জমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের হস্তান্তর করেছেন। এ উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলা অফিসার ক্লাব মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরীর পরিচালনায় এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, বাঁশখালীতে প্রধানমন্ত্রী প্রথম ধাপে ২৫টি ও ২য় ধাপে ৪০টি পরিবার মিলে মোট ৬৫টি অসহায় পরিবারকে ঘর ও জমি দিয়েছেন। আরো তালিকা করা হচ্ছে, কাউকে গৃহহীন রাখবেন না প্রধানমন্ত্রী। আপনারা শুধু তাঁর সুস্থ থাকার জন্য দোয়া করবেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজমী, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সফিউল কবির, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালম মিয়াজি, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সমরঞ্জন বড়ুয়া, কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ছালেক, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল আলম, বাহারচরা ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. বদরুদ্দীন, বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন, বন কর্মকর্তা আনিচ্ছুজ্জামান শেখ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গত ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একসঙ্গে ৬৫ হাজার ৪০ জন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে উপহার দিয়েছেন স্বপ্নের নিজস্ব ঠিকানা