৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪র্থ ধাপে বাঁশখালীর নির্বাচন গতকাল সমাপ্ত হয়েছে। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে খোরশেদ আলম চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। চমক হয়ে আসে মোহাম্মদ হোছাইন যার নির্বাচনেই থাকার কথা ছিলনা। অনলাইনে মনোনয়ন সাবমিট করতে না পারায় প্রাথমিক তালিকায় তাঁর নামই ছিলনা। পরে কোর্ট থেকে দীর্ঘ সংগ্রামের পর প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে মাঠে নেমেই চমক। মাঠে ময়দানের আলোচনায় ঐ পদে হট ক্যান্ডিডেট ছিল আরিফুজ্জামান আরিফ ও আক্তার হোসাইন। বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যদিও দুই একজন প্রার্থী নির্বাচনে জালভোট হওয়ার অভিযোগ এনেছেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এর ভিত্তিতে আদালতের দ্বারস্ত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন। এখন দেখা যাক তাঁরা কোন পথে হাটেন।
বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন চারজন। তাদের মধ্যে জাহিদুল হক চৌধুরী মার্শাল মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৬ ভোট (প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছিলেন), শেখ ফখর উদ্দীন চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে ১২৬৯ ভোট, মুহাম্মদ এমরানুল হক আনারস প্রতীকে ২১৯৭৯ ভোট (নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী), মোঃ খোরশেদ আলম দোয়াত-কলম প্রতীকে ৬১৫১১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে প্রার্থী ছিলেন ৭জন। এম.এ মালেক (মানিক) উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ৫০২৯ ভোট, ইমরুল হক চৌধুরী ফাহিম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৬০৭৯ ভোট, মোঃ আরিফুর রহমান টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে ৮১৮৮ ভোট, মোঃ ওসমান গণী মাইক প্রতীক নিয়ে ১০২৭০ ভোট, মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ চশমা প্রতীক নিয়ে ১৬১৮০ ভোট, মোঃ আক্তার হোসাইন তালা প্রতীক নিয়ে ১৬২৬৭ ভোট (নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী), মোহাম্মদ হোছাইন বই প্রতীক নিয়ে ২১,২১১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন তিন জন। ইয়ামুন নাহার প্রজাপতি প্রতীকে ১৭৩৪৮ ভোট, রেহেনা আক্তার কাজমী কলস প্রতীকে ১৯৫৬০ ভোট (নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী), নূরী মন আক্তার ফুটবল প্রতীকে ৪৫১৩০ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও বাঁশখালী) জেসমিন আক্তার স্বাক্ষরিত ভোটের ফলাফল শিটে দেখা যায় মোট ভোটার ছিল ৩,৭৯,৯০৬ টি যার মধ্যে ভোট পড়েছে ৮৭১১১, যেখানেবৈধ ভোট ছিল ৮৩২২৭টি এবং বাতিল হয়েছে ৩৮৮৪টি ভোট।