
বাঁশখালী থানার পুলিশের নিরবচ্ছিন্ন ১৬ ঘণ্টার অভিযানে অপহৃত পাঁচ মাস বয়সী শিশু মো. আদিয়াত কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোবাইদা সুলতানা আনজু (২৮) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ অক্টোবর (রবিবার) দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলজ্জানি বরবাড়িতে এই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। শিশুর বাবা মনজুর আলম (৩০) বাড়ির উঠানে তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন। এসময় প্রতিবেশী ও পূর্বপরিচিত রিদুয়ান (৩২) শিশুটিকে কোলে নিতে চাইলে, সরল বিশ্বাসে মনজুর আলম তাকে শিশুটি কোলে দেন এবং পাশের চায়ের দোকানে যান।
এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে মনজুর আলম দেখেন, রিদুয়ান শিশুটিকে নিয়ে উধাও। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তিনি বাঁশখালী থানায় রিদুয়ানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার)–এর নির্দেশনায় আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগের তত্ত্বাবধানে, বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম–এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম অভিযান শুরু করে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, শিশুটিকে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের মুরাদাবাদ এলাকার রোবাইদা সুলতানা আনজু নামের এক নারীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পরবর্তীতে চন্দনাইশ থানা পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে শিশু আদিয়াতকে উদ্ধার ও রোবাইদাকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রোবাইদা জানান, তার আত্মীয় আলমগীর (৩৮) ও এজাহারনামীয় আসামী রিদুয়ান (৩২) শিশুটিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার কাছে বিক্রি করে।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন,
“মাত্র ১৬ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারে আমরা সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
পুলিশ শিশুটিকে কে তার পরিবারের কাছে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : পারুল আকতার
ইমেইল : banshkhaliexpress@gmail.com
www.banshkhaliexpress.net | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত | © CW26020