স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে যায়গা করে নিয়েছে।পদ্মার বুকে সেতু হয়েছে।ঢাকা চট্টগ্রাম শহেরর বুক চিরে ফ্লাইওভার বয়ে গেছে।এই স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দেশে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়েছে।যদিও অনেকে স্বীকার করতে চায় না।তারপরেও পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ এখন একটি উন্নয়নশীল দেশ।
কিন্তু এসব উন্নয়নের গল্প শুনতে শুনতে বাঁশখালীবাসী খুবই ক্লান্ত।সব যায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া পেলেও বাঁশখালী তার বিপরীত।বাঁশখালীর প্রধান সড়ক ছাড়া আর কোনো উন্নয়নের জোয়ার চোখে পড়ার মত না।তবে গ্রামের ভেতরের সড়কের বেহাল দশা এখনো প্রতীয়মান। হেটে আসলে দেখতে পাবেন কেমন দশায় আছে।যাতায়াত ব্যবস্থা কেমন ছিল সেটা আর না বললেও হয়।এস আলম বাস যাওয়ার পর স্পেশাল নামক এলিয়েন থেকে বাঁশখালীবাসী কিছুটা মুক্তি পেয়েছে।তারপরেও বাঁশখালীতে জনগণের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।
এত সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তর সমস্যা সেটা হলো বিদ্যুৎ ভোগান্তি।আমার মনে হয় বাঁশখালীবাসী এই সমস্যার চেয়ে অন্যকোনো সমস্যায় এত বেশি কষ্ট ভোগ করেনি।প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে বাঁশখালীর জনগণ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।গ্রীষ্মকাল বা বর্ষাকাল অথবা শীতকাল কোনো কালেই বাঁশখালীর মানুষ বিদ্যুৎ নিয়ে প্রশান্তি পায়নি।কখনো শান্তি পায় কিনা আল্লাহ মালুম।
বাংলাদেশে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ গেছে সেসব এলাকার মানুষ মনে হয় বাঁশখালীর মানুষের মত এত কষ্ট ভোগ করেনি।গ্রীষ্মের সময় হলে বলে বিদ্যুৎ লোড দিতে পারছে না।বর্ষাকালে বলে বাতাসে কেবলের উপর গাছ পড়েছে।অন্য সময় হলে বলে লাইনের ত্রুটির কারণে অমুক দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে।আরো কত তামাশা। নাটকের শেষ এখনো হচ্ছে না।এসব কি একটি ডিজিটাল দেশের কান্ড…?
আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ভোগান্তি নিয়ে কোনো জনপ্রতিনিধিকে কথা বলতে দেখলাম না।তাদের কি দায়িত্ব বলতে কিছু আছে কি নাই সেটাও হয়তো তারা জানেনা।রাস্তার মাঝে ইট দুটা বিছাই দিলে অসহায় মানুষ একটাকে চাল ৫ কেজি ধরাই দিলে কাজ শেষ হয়ে যায়না। তারা কি এটাকেই দায়িত্ব মনে করে। এসব করতে পারলেই তারা মনে করে জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব শেষ?
আমি বাঁশখালীর জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ করছি।আপনারা নিজ এলাকার প্রতি আন্তরিক হোন।জনগণের জন্য কিছুটা হলেও করুন।এই বিদ্যুৎ ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করুন।এসব করতে পারলে জনগণ আপনাদের মনে রাখবেন।জন্ম থেকে প্রজন্ম আপনাদের দোয়া দিবেন।
আমরা উন্নয়নের গল্প শুনতে চায় না।
আমরা উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে চায়।
একজন ভুক্তভোগী
মিনহাজ উদ্দিন সামি
পৌরসভা, ৫নং ওয়ার্ড