চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পড়ুয়া বাঁশখালীর বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত "বাঁশখালী স্টুডেন্টস' এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়"। এটি একটি অরাজনৈতিক শিক্ষামূলক সংগঠন হিসেবে প্রায় এক দশক ধরে বাঁশখালী ও বাঁশখালীর জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি গত ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি চড়ুইভাতির আয়োজন করে। সকাল ১১:৩০ মিনিটে সংগঠনের সম্পাদক মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও সভাপতি সুজায়েনা বিনতে ওমর (ঐশী)র সভাপতিত্বে অনুষ্টান শুরু হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে সভাপতি ঐশী বলেন “বিভিন্ন বিপ্লব ও যৌক্তিক আন্দোলনে বাঁশখালীর সন্তানদের নেতৃত্ব এক ঐতিহাসিক সাক্ষী। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের সদস্যরা চট্টগ্রাম শহরের প্রত্যেক আন্দোলনে অংশ নিয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে, নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা সবাই রাজপথে থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি । তাই আপনারা এই চড়ুইভাতি কে বিজয় উৎসবও বলতে পারেন।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান, বাঁশখালীর কৃতি সন্তান, অধ্যাপক ড. জহুরুল আলম স্যার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “এখানে সবাই বাঁশখালীর চবিয়ান। সবাই আমার সন্তান। চবির বুকে বাঁশখালীর প্রান্তিক জনপদের এত শিক্ষার্থী সত্যিই অনেক আনন্দের ও গর্বের। একাডেমিক আলোচনার বাইরে গিয়ে আমার বাঁশখালীর সম্ভাবনাময়ী সন্তানদের সাথে আলাপের সুযোগ হলো।” তিনি আরো বলেন, “আমি আশা করি আমার এই সম্ভাবনাময়ী ছেলেরা বাঁশখালীর বিভিন্ন জনপদ থেকে মেধাবী তুলে আনতে দারুণ সব কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এবং সুন্দর বাঁশখালী বিনির্মানের সারথি হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক, বাঁশখালীর কৃতি সন্তান, ড. অছিয়ুর রহমান বলেন, “একাডেমিক একগুঁয়েমি কাটিয়ে উঠতে এরকম চড়ুইভাতি খুবই সহায়ক। তোমরা বীরের মতো লড়াই করে ২য় স্বাধীনতা এনেছ। এখন রিফ্রেশমেন্টের জন্য আনন্দ ফূর্তি দরকার। তবে একাডেমিক কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় করে নয়।”
তিনি শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “এখানে সবাই মোটামুটি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তোমাদের নিয়ে পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণে তোমাদের আরো উদ্যমী হতে হবে।”
চড়ুইভাতি অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডা আসিফুল হক। তিনি বলেন, “বাঁশখালীর এত মেধাবীদের একসাথে দেখে আমি আবেগাপ্লুত। আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে বাঁশখালীকে ভাল কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব।”
আইন বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান 'মিনি ল স্কুল'র সিইও, এডভোকেট মুহাম্মদ রায়হান সোবহান বলেন, “চবির বোটানিকাল গার্ডেনে বাঁশখালীর মৌমাঁছির (শিক্ষার্থীদের) বিচরণ ও এদের সুশৃঙ্খল আয়োজন দেখে আমি রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছি। এরকম অনুষ্ঠান গুলো সাবেকদের সাথে বর্তমান শিক্ষার্থীদের আত্নিক সম্পর্ক গড়ার একটা মাধ্যম। এর মাধ্যমে আমাদের হৃদ্যতা ও বোঝাপড়া বাড়ে। আর এই মিলন থেকে বৃহত্তর কিছু করার প্রয়াস সৃষ্টি হয়।”
এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালত বাঁশখালীর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জুবেদ মাহমুদ চৌধুরী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার মোহাম্মদ নাফিজ মিনহাজ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক রেজাউল আজিজ রেজা।
এসোসিয়েশনের সদস্যদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে উক্ত চড়ুইভাতির সুন্দর সমাপ্তি ঘটে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : পারুল আকতার
ইমেইল : banshkhaliexpress@gmail.com
www.banshkhaliexpress.net | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত | © CW26020