বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (বাপবিবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়েছেন বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ উদ্দীন। গত সোমবার (২৮ আগস্ট) বাপবিবোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের অনুমোদন ক্রমে, কর্মচারী প্রশাসন পরিদপ্তরের পরিচালক জনাব মাহফুজুল হকের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রকৌশলী জাহেদ উদ্দীন পূর্ব বৈলছড়ি নিবাসী মোহাম্মদ আছহাব মিয়া সওদাগর ও মোছাম্মৎ রহিমুন্নেছা বেগম এর পঞ্চম পুত্র। কৃর্তিমান এই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আমেরিকা-কানাডায় বিভিন্ন পর্যায়ে চাকরির পাশাপাশি এই দেশের নানা সেক্টরে উচ্চ পদে চাকুরী করে আসছেন।
জনাব জাহেদ উদ্দীন বর্তমান পদের পূর্বে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে ঢাকা,চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং কক্সবাজার জেলায় দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। বর্তমান সরকার ও দেশের অগ্রযাত্রার অন্যতম মাইলফলক অর্জন "মুজিব বর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন" কার্যক্রমে তিনি কুমিল্লা ও কক্সবাজার জেলার নানা চ্যালেঞ্জিং এলাকায় মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকারের অন্যান্য দপ্তরের পাশাপাশি নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। বিগত চাকরিজীবনে ধারাবাহিক নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার জন্য বর্তমানে এই পদোন্নতি পেয়েছেন বলে জানা যায়।
বাঁশখালী এক্সপ্রেস : কেমন আছেন? আপনাকে অভিনন্দন। নতুন এই পদে নিয়োগ পেয়ে কি ভাবছেন?
মোহাম্মদ জাহেদ উদ্দিন : ধন্যবাদ আপনাকে। একই সাথে আপনার জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকার সবাইকৈ ও বাঁশখালী এক্সপ্রেসের সকল পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি সর্বদা যে কোন কাজে প্রেরণা যোগায়। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।নতুন পদে কাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য বাড়লো বৈকি। চেষ্টা থাকবে অর্পিত এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার।
বাঁ.এ : নতুন পদের বিপরীতে কী কী দায়িত্ব থাকছে?
মো.জা.উ: সব পদে দায়িত্ব সে একই। তফাত শুধু ক্ষুদ্র ও বৃহৎ পরিসরে। বৃহৎ পরিসরে প্রধানত দায়িত্ব পড়ে বৈদ্যুতিক লাইন সম্প্রসারণ, পরিচলন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অঞ্চলভিত্তিক সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন।
বাঁ.এ : দাপ্তরিক কাজের বাইরে আর কী কী করতে ভাল লাগে, মানে টানে?
মো.জা.উ: টুকটাক লেখালেখি করতে ভালো লাগে। স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে গপ্পো করে সুখ পাই। তদুপরি নতুন কিছু শিখতে ও জানতে ভালো লাগে। চাকরির ফলে নানা জায়গার নানান মানুষের অদ্ভুত সব আচার-আচরণগুলো বুঝতে ও তাদের পূর্বাপার অভ্যাসগত চর্চাগুলো জানতে ভালো লাগে।
বাঁ.এ : এই ব্যস্ততম জীবনের ক্লান্তি মাড়িয়ে লেখার ধৈর্য্য কিভাবে পান? আপনার লেখার মূল বিষয়বস্তু কি থাকে?
মো.জা.উ: মূলতঃ কাজের ক্লান্তি নাশিতে একটু লেখালেখির চেষ্টা করি। ছাইপাশ কি লিখি তা কেবল পাঠককুল বলতে পারবে কিংবা ঐসব লেখা আদৌ কোন লেখার পর্যায়ে পড়ে কিনা জানি না। হা...হা.... যাপিত জীবনের চারপাশে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে গল্প লিখতে ভালো লাগে। গল্পের আশ্রয়ে সমাজ, মানুষ, মানবিকতা আর কৃতজ্ঞতাবোধকে তুলে ধরার চেষ্টা থাকে খন্ড খন্ড শব্দচিত্রে।
বাঁ.এ: আপনার সম্পর্কে যদি কয়েক লাইনে বলতে বলি, তাহলে কি বলবেন?
মো. জা.উ: সর্বদা মরার ভয় করে বাঁচি বলে হয়তো এখনো লোভকে নিয়ন্ত্রণ করে সাদাসিধে চলতে পারি। খুবই আরাধ্য বিষয় হলো,অভিযোগহীন একটি সহজ সরল জীবন। অতি হিসাবী মানুষ আর জীবনের জটিলতাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এই আর কি (হাসি)
বাঁ.এ : ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বলুন :
মো.জা.উ: ব্যক্তিজীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক।মেয়েটি প্রাইমারির স্টুডেন্ট। তিনি খুব সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকেন। ভালো (হাসি) আবৃত্তি করেন।
বাঁ.এ : এলাকার শিক্ষিত, বেকার তরুণ জনশক্তির জন্য কয়েক লাইনে কি পরামর্শ দেবেন?
মো.জা.উ: কিছু বলার মতো অতবড়ো এখনো হয়নি। তবুও ছোট ভাইদের কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবো, "যত শিক্ষিত হই না কেন, আমরা যেন জীবনের শুরুতে কোন কাজকে ছোট মনে না করি। ছোট হতে সবকিছু শুরু করা যায়, এই বিশ্বাসটুকু যেন সদা অন্তরে লালন করি।"
বাঁ.এ : মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মো.জা.উ: আপনাকে ও বাঁশখালী এক্সপ্রেসের সকল পাঠক, শুভানুধ্যায়ীকেও ধন্যবাদ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : পারুল আকতার
ইমেইল : banshkhaliexpress@gmail.com
www.banshkhaliexpress.net | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত | © CW26020