মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, ঢাকা
সকালে ঘুমঘুম চোখে এমন একটা কল আসবে কোনদিন কল্পনাও করিনি। প্রিয় শাহ্ আলম ভাই আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি………………. রাজিউন।)
বাঁশখালী সমিতি ঢাকার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই সমিতির একজন ভ্যানগার্ড ছিলেন। পালন করেছেন গুরুত্ব পূর্ণ দায়িত্ব ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি বাঁশখালি সমিতি ঢাকা প্রতিষ্ঠা করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।ঢাকাস্থ বাঁশখালী বাসীকে খুঁজে বের করা এটা কোন সময় সহজ কাজ ছিলোনা। তিনি এই কষ্টসাধ্য কাজকে সহজ করেছেন। সবাইকে নিয়ে এসেছিলে একই ছাতার নিছে তৈরি করেছিলেন আরো একটি পরিবার।
শাহ্ আলম ভাই কর্মজীবনে ছিলেন একজন সফল মানুষ। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফা-গ্রুপ সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন বায়িং হাউজের পরিচালক হিসেবে। বেকার যুবকদের জন্য ছিলেন একটি আস্থা এবং বিশ্বাসের নাম। বাঁশখালীর কেও কল দিয়ে কর্মসংস্থানের কথা বল্লে তিনি তা খুব দ্রুত দেখতেন এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন।
তিনি বাঁশখালীর মানুষেরের কাছে পরিচিত ছিলেন একজন পরোপকারী মানুষ হিসেবে। রাতবিরেত যখন যে কল দিত তার রেস্পন্স করতেন বাঁশখালীর মানুষের জন্য তার দুয়ার সবসময় খোলা ছিলো। তার চিন্তা ভাবনায় ছিলো সবসময় বাঁশখালী। আমার সাথে যখন কথা হতো ঘুরে ফিরে আবার সেই একই কথা বাঁশখালী।আমি শুধু শুনতাম তার মগজে বাঁশখালী নিয়ে কত চিন্তা কত আলাপ কত স্বপ্ন।
টেলিভিশন টকশো জগতেও ছিলো তার বিচরণ। তিনি একটু বিএনপি ঘরোনার ছিলেন । তাই তিনি টকশোতে নেতিবাচক প্রশ্ন করতেন তাই দেশের প্রথম শারির গণমাধ্যম গুলো আলোচিত টকশো গুলোতে তাকে আগেই কনফার্ম করে রাখতেন উনি যেনো একটি কল দিয়ে প্রশ্ন করে।
আমার সাথে ভাইয়ার সম্পর্ক ছিলো অন্যরকম। তিনি আমাকে দেখলে বুকে টেনে নিতেন মনে হতো এযেন রক্তের সম্পর্ক । উনার সাথে বাঁশখালী সমিতি ঢাকার লাস্ট পিকনিকে কাজকরে আরো কাছে চলে গিয়েছিলাম। মাঝে মাঝেই কল দিতো, খোঁজ খবর নিতেন সবসময় আমার। আমি আজ একজন বড় ভাইকে হারালাম।
একজন অহংকারশূন্য মানুষ ছিলেন শাহ্ আলম ভাই। একজন শিল্পপতি হয়েও কোনদিন তার আচরণে কথায় চলনে বুঝার কোন উপায় ছিলোনা। খুব স্বাভাবিক ভাবে মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক বড় ক্ষমতা ছিলো মানুষটির।
বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের সন্তান প্রিয় ভাই। আল্লাহ প্রিয় ভাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক, আমিন।