তৌহিদ চৌধুরী :
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নৈসর্গিক উপজেলা বাঁশখালীর জলকদর খাল বিধৌত ইউনিয়ন কাথরিয়ার ইউনিয়নের পূর্ব কাথরিয়া ডিগ্রিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন রহিম সৈকত। তিনি পিতা মোস্তাক আহমেদ ও রাবেয়া বেগম দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান। ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।
শিক্ষা : বাড়ির পাশেই লাগোয়া পূর্বকাথরিয়া সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন, কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, স্যার আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতক, সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন : উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের শিক্ষা কর্মসূচি পেইস এর আওতায় আনোয়ারা উপজেলায় প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। এরপর তিনি চলে আসেন শিক্ষকতা পেশায়। একই উপজেলার চারপীর আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বরুমছড়া শহীদ বশরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়, বটতলী শাহ মোহছেন আওলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং সর্বশেষ পরৈকোড়া নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন সহকারী শিক্ষক হিসেবে।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি। ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ তারিখে নিজের জন্মভূমির মাটি ও মানুষ ঘনিষ্ঠ প্রচার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এই অঞ্চলের জনপ্রিয় কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম বাঁশখালী এক্সপ্রেস। অত্রজনপদের বিভিন্ন সমাজ হিতৈষী মানুষের সহযোগিতা, সমর্থনে, ভালবাসায় বাঁশখালী এক্সপ্রেস বর্তমানে (২০২৪) ১,৮০,০০০ মানুষের সক্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
সাংবাদিকতা : ২০২০ সালে কল্যাণ চক্রবর্তী সম্পাদিত দৈনিক ইনফো বাংলায় সহ-সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় তার আরো একটি ক্ষেত্রে নিজের পথ চলা শুরু হয়। ২০২৩ সালে জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক বাংলায় আনোয়ারা বাঁশখালী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়মিত সংবাদ লিখছেন তিনি।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি : বহুমুখী প্রতিভাবান রহিম সৈকত ২০১৯ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে পুরস্কৃত হোন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন সনদ ও এওয়ার্ড তুলে দেন।
২০২০ সালে সারা দেশের হাজার প্রতিযোগিকে পেছনে ফেলে দেশ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে স্বীকৃতি পান। তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এই নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে তাঁকে নিয়ে প্রচারিত হয় ফিচার ও প্রতিবেদন ।
২০২২ সালে আইকনিক শিক্ষক হিসেবে এটুআই ও গ্রামীনফোন আইকনিক শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি সহ ক্রীড়ার প্রচার প্রসারে নিজ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্নভাবে সামাজিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাঁকে সম্মাননা স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।