Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শিক্ষার্থীকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারচরা ইউনিয়নের ইউনুছিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় গত ০৭/১২/২০২৪ তারিখে শিহাবুল ইসলাম তামিম নামে এক শিক্ষার্থীকে আবদুল বাসেত নামে এক শিক্ষক কর্তৃক নির্দয়ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত শিক্ষার্থী শিহাবুল ইসলাম তামিম বলেন, হুজুরকে ঘটনার আগে আধা পৃষ্ঠা করে ছবক (পড়া) দিতাম। এরপর তিন পৃষ্ঠা করে সবক দেয়া শুরু করি। ঘটনার আগের দিন পড়া ঠিক হয়নি বলে হুজুর একবার মেরেছেন। ঘটনার দিন ছবক দিলে হুজুর আবারও আমার ঘাড় ধরে বেঞ্চের উপর জোরে জোরে আমার মাথা ঠুকে দেন অনেকবার। চোখে খুব ব্যাথা করছিল, রক্ত পড়ছিল। আমি এরপর মাথা ঘুরে পড়ে যাই।

উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর মা নিলুফা আক্তার বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা করেন। যার মামলা নং-১৬। তিনি বাঁশখালী এক্সপ্রেসকে বলেন,’ হুজুরের নিজের সন্তান আছে, তাঁর সন্তানকে এভাবে নির্দয়ভাবে পেটাতে পারতেন? শিক্ষার্থীও তো হুজুরদের সন্তানের মত। আমরা আর কাকে বিশ্বাস করব?

এই নিয়ে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে, পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ নোমান বলেন,’ প্রাথমিক তদন্তে শারীরিক শাস্তি প্রদানের বিষয়টি সত্যতা পাওয়া গেলে এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত চলমান । অভিযুক্ত শিক্ষককে দোষী পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থাসহ গ্রহন সহ চাকুরী থেকে স্থায়ীভাবে অব্যহতি প্রদান করা হবে। কিন্তু বেদনাভরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই ঘটনাকে পুঁজি করে ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার হীন লক্ষ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও যে অপ্রচার চালানো হচ্ছে তা ভিত্তিহীন সর্বৈব মিথ্যা ও দুঃখজনক। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সব রকম সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত।

এই নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল বাসেতের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করলে এক লাইনে উত্তর দেন ‘ মুহতারাম বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত।

আরও পড়ুন  বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ধরনের (ভ্যারিয়্যান্ট) সন্ধান

এই নিয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীকে প্রহারের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।