নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্ভাবনাময় তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কৃষকরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, বৈলছড়ি, সরল, চাম্বল, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি প্রণোদনায় এই ফসলের চাষ হয়েছে। সেই চাষে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে বাগান। যা দেখে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি।অন্যদিকে সবুজ মাঠের মাঝখানে হলুদ রঙের পরিপাটি সূর্যমুখী বাগান। বাগানের উপরে উড়ছে মৌমাছি আর পাখি। চোখ ও মন জুড়িয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্য। তাই এই মনোরম দৃশ্য দেখতে বাগানে বাগানে দেখা যাচ্ছে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও। সূর্যমুখী বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করে তার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে দেখা গেছে অনেককেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্যিক ও ব্যবহারিক সুবিধার কারণে ব্যবসায়ী ও চাষিদের কাছে সূর্যমুখীর কদর বাড়ছে। এটি থেকে যেমন তেল ও খৈল হয়, তেমনি গাছও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ জন্য ব্যবসায়ীরা সূর্যমুখীর বীজ কিনতে ইতিমধ্যে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বাঁশখালীতে ৭ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে। এই ফসলের আবাদে প্রতি কানি জমিতে ব্যয় হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে ফলন ভালো হলে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। রোপণের তিন মাসেই এই ফসল ঘরে তুলা যায়। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার সূর্যমুখী তেল উৎপাদনের মাধ্যমে তেলের চাহিদা পূরণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
পূর্ব চেচুরিয়া এলাকার কৃষক আবদুল আজিজ বলেন, এবারে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করেছি। এখন গাছ ও ফুল দেখে লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও কঠোর পরিশ্রম করায় আমার বাগানে ভালো ফলন হয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি করে সূর্যমুখী চাষের চিন্তাভাবনা করছি।
সাধনপুর এলাকার চাষী আব্দু শুক্কুর বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করেছি। ব্যবসায়ীরা বীজ কেনার জন্য যোগাযোগ করছেন। ফুল থেকে মধু আহরণে বাগানে মৌ বক্স বসানো হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক জানান, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাঁশখালীর প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে। রোপণের তিন মাসে এই ফসল ঘরে তুলা যায়। এই ফুল থেকে মধু আহরণে বিভিন্ন জায়গার বাগানে মৌ বক্স বসানো হয়েছে। এই ফসলের আবাদে কৃষকদের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তাই আগামীতে চাষ আরও বাড়াতে কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : পারুল আকতার
ইমেইল : banshkhaliexpress@gmail.com
www.banshkhaliexpress.net | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত | © CW26020