Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সেবাখোলা মাঠ পুনসংস্কারের ঘোষণা 

বাঁশখালী এক্সপ্রেসে প্রকাশিত শ্মশান খোলা মাঠ কাটা হচ্ছে দিনে দুপুরে (স্থানীয় খেলার মাঠ) শীর্ষক সংবাদটি ব্যাপক প্রচারিত হলে তা স্থানীয় সচেতন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরী করে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অত্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব শাহজাহান চৌধুরী। সংবাদটি তাঁর দৃষ্টিগোচর হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি স্ট্যাটাস দেন। তাঁর স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল;

আসসালামু আলাইকু প্রিয় এলাকাবাসী, আমি খুবই অসুস্থ বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি।মহান আল্লাহর রহমতে এবং আমার প্রিয় এলাকাবাসীর মানুষের ভালবাসায় এবং দোয়া এখন কিছুটা সুস্থ অনুভব করছি। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় আমাকে স্নেহের মিজান জানাল কে বা কারা আমার শৈশব কৈশোরের হাজার স্মৃতিময় খেলার মাঠ সেবাখোলার (শ্মশান খোলা) মাটি খনন করে নিয়ে গেছে কতিপয় দুষ্ট লোক।আমি জেনে খুবই লজ্জিত এবং ব্যথিত হলাম ।এই খেলার মাঠ আমার ইউনিয়নের তরুন প্রজন্ম যাতে খেলাধুলা করতে পারে, সে জন্য আমি চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে উক্ত মাঠে বর্ষা মৌসুমে প্রবল স্রোতে সৃষ্ট নালা এবং গর্ত গুলো নিজস্ব অর্থায়ন ভরাট করে দিয়েছিলাম কারন আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। এ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর ও পরিপূর্ণভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন ক্রীড়া তথা খেলার মাঠ।আমি আমার এলাকার তরুন প্রজন্মকে বলতে চাই এই সেবাখোলার মাঠ যারা খনন করে মাঠি নিয়ে গেছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে।এই মাঠ আমার যেমন আবেগ ভালবাসার স্হান তেমনি সমগ্র ইউনিয়নের যুবক ভাইদের আবেগ অনুভূতি ভালবাসার জায়গা।এই মাঠ অবশ্যই পূর্বের অবস্হায় ফিরিয়ে আনা হবে।আমার এলাকার তরুন সমাজের সেবাখোলার মাঠ সম্পর্কে যে আবেগ ভালবাসা দেখিয়েছে তাতে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি।আশা করি আপনারা সবাই আমার সাথে বসবেন, এই সেবাখোলার মাঠকে অবশ্যই পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে আধুনিক মডেল মাঠে রূপান্তরিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

আরও পড়ুন  বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতের কাথরিয়া-হালিয়াপাড়া পয়েন্ট ক্ষতির মুখে

অনুসন্ধানে জানা যায় ঐ শ্মশান খোলা মাঠের উল্লেখযোগ্য অংশের মালিকানা শাহাজাহান চৌধুরীর। তাঁকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা,করা হলে তিনি বাঁশখালী এক্সপ্রেসকে জানান, সেবাখোলার যে মাঠে নিয়ে কাথরিয়া ইউনিয়নের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে ঐ মাঠের অংশ এখনো অক্ষত রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এই মাঠ দলিল মূলে আমার পৈতৃক জায়গা এবং এই মাঠে আমার মরহুম পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত অলি আহমদ চৌধুরী ফাউন্ডেশন কতৃর্ক পরিচালিত বাগমারা প্রিমিয়ার লীগ (BSL) ক্রিকেট টূর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ও উক্ত টূর্ণামেন্টে চলমান আছে। ভবিষ্যতে এই মাঠকে সুরক্ষিত রাখতে আমি বদ্ধ পরিকর। ‘ তিনি আরো বলেন, সেবাখোলার মাঠকে বাঁশখালী প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে মাঠ নিমার্ণ পরামর্শক নিয়োগ দিয়ে আধুনিক মানের ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলার মাঠে রূপান্তরিত করা হবে।

সেবাখোলার মাটি কেটে যাঁরা নিয়ে গেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং তাদের পূর্ব পুরুষের বিএস রেকর্ড়ীয় মালীকানা জায়গা।তারা বলেন স্হানীয় মানুষের চাহিদা মোতাবেক মাষ্টার নুর হোসেন সাহেবের বাড়ির সামনে জলকদর খাল সংলগ্ন সুইচ গেইটের উভয় পাশে মাঠি সরে যাওয়ায় এবং বর্ষা মৌসুমে যাতে এলাকা প্লাবিত না হতে পারে সেই জন্য কিছু মাঠি খনন করে ওখানে দিয়েছে।

এই নিয়ে বাঁশখালী উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার জসিম উদ্দিন এর মন্তব্য জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ক্ষুদেবার্তা পাঠালে তিনি প্রতিত্তোরে লিখেন আমরা অভিযান করে ৪টি দাম্পার ট্রাক জব্দ করেছি। যারা মাটি কাটার সাথে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।