রহিম সৈকত ▪️
মানুষ উৎসব প্রিয়, সেই উৎসব যদি হয় শৈশবের খেলার সাথী, পড়ার সাথীকে নিয়ে তাও কৈশোর পেরিয়ে, যৌবনের উদ্দাম সিড়ি পেরিয়ে পরিণত যৌবনে সবাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণ, স্মৃতিকাতরতা, মহাকালের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়া সেই অতীতকে ফিরিয়ে আনার প্রাণান্তকর চেষ্টা তবে সেখানে তো উৎসব হবেই।
১৯৯৪ সালে বাঁশখালী থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৫০০ শিক্ষার্থী মিলিত হয়েছে একই বিন্দুতে। নাম হয়েছে তার ৯৪ বাঁশখালী। প্রতিবছর ৯৪ উৎসব রঙ্গিন হচ্ছে, যুক্ত হচ্ছে নতুন করে সময়ের স্রোতে বিস্মৃত মুখ গুলো। বিগত বছর সেই স্রোত দেখার সুযোগ হয়েছিল। এই বছর অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে দেখার সুযোগ না হলেও অনুভব করেছি তাঁদের রঙ্গিন মুহুর্ত গুলো।
৯৪ বাঁশখালী এর আহবায়ক দিদারুল আলম চৌধুরীর বর্ণনায় উঠে এল সেসব কথা। তিনি বলেন,’ ব্যস্ততম নাগরিক জীবনের ফাঁক গলে বছরে একটা দিনের অপেক্ষা। তারপর বয়স ভুলে যাওয়া, সময় ভুলে যাওয়া, আবার শিশু হয়ে উঠা, শৈশবে ফিরে যাওয়া। এই অনুভূতি কি বলে বুঝানো সম্ভব! হারিয়ে যাওয়া সময়কে নতুন করে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি। নিছক মিলনমেলায় থেমে থাকেনি আমাদের আয়োজন। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ছিল নানা আয়োজন।
শুক্রবার নগরীর স্বাধীনতা স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে (জিয়াপার্ক) এস.এস.সি -১৯৯৪ বাঁশখালীর মিলনমেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দিদারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমির মোঃ মাশহুরুল আলী বাবর এর সঞ্চালনায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বাঁশখালীর প্রায় ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৯৪সালে ৫০০+ সদস্য এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বন্ধুরা সম্মিলিত হয়। দিনব্যাপী জমকালো আয়োজনে সদ্য এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান ও লাকি কুপন ড্র এর পুরস্কার প্রদানসহ আরো নানা ইভেন্টের মধ্যদিয়ে উক্ত জমকালো মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন,এস.এস.সি-৯৪ এর সদস্য ,ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)এর সদস্য ও মহানগর প্রপার্টিজ এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর প্রকৌশলী মুনির উদ্দিন আহমদ,ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি) এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এ.জি.এম জাহাঙ্গীর আলম।