রহিম সৈকত ◾
বাঁশখালীর যেসকল প্রয়াত সন্তান নিজ কর্মগুণে,তাদের নাম আজও লোকের মুখে মুখে ঘুরেফিরে তাদের একজন ডিসি এয়ার মোহাম্মদ। খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের এই সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে সম্মান সহ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ফতেয়াবাদ কলেজে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে ১৯৭৩ সালে বিসিএস প্রশাসনে যোগদান করেন। সরকারের আমলা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন পর্যায়ে।
পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ বশির উদ্দিন কনক তাকে নিয়ে বলেন, এয়ার মোহাম্মদ সাহেব উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হলেও সাধারণের মাঝে মিশে থাকার অসাধারণ গুণ ছিল তাঁর । তিনি যখন খাগড়াছড়িতে ডিসি হিসাবে দায়িত্বপালন করছিল তখন পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তিনি সুন্দরভাবে সামাল দিতে সক্ষম হন। নিজ এলাকার প্রতি তার অসম্ভব টান ছিল। শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রেখেছেন৷ তিনি পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসার সদস্য (প্রশাসন) সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ‘
১৯৯৬ সালের ৪ জুন তিনি চট্টগ্রামে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সমুদ্র সৈকতে সেসময় বিপুল সংখ্যক মানুষ তাঁর জানাজায় শরীক হন। কদমরসুল পৈতৃক কবর স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ করছি শ্রদ্ধায়, ভালবাসায়।