Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রেক্ষিতঃ বঙ্গোপসাগরে জেলেদের সংঘাত, প্রাণহানি

“ন্যায্যতার ভিত্তিতে জলবন্ধু জেলেদের জাল ফেলার সুব্যবস্থা করুন,ওদেরকে জলদস্যু হবার পথে ঠেলে দেবেন না।”

নঈমুল হক পারভেজ

পশ্চিম বাঁশখালীর উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত প্রেমাশিয়া থেকে ছনুয়া বিস্তীর্ণ বঙ্গোপসাগরের উপকুলবর্তী অঞ্চলের বিশাল এক জনগোষ্ঠী সমুদ্রে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।জেলেদের জীবন নিয়ে জীবিকা নিয়ে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’র মতো কালজয়ী উপন্যাস বহুল পঠিত।আমার নিকট প্রতিবেশি বলেই জানি,আমাদের জেলেদের জীবন উপন্যাসের চেয়েও কষ্টেদায়ক এক গোলকধাঁধায় আবর্তিত।গ্রাম্য মহাজনদের কাছ থেকে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে এরা সাগরে জাল নিয়ে যায়।প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে যথাসময়ে তীরে ফিরতে না পেরে নৌকাসমেত সলিলসমাধি হয় অনেকের।এটাকে দৈবদুর্বিপাক কিংবা নিয়তি হিসেবে আমরা মেনেও নিই।কিন্তু সাগরে জাল ফেলার জায়গা নিয়ে জীবনঘাতি বিরোধে যখন কারো প্রাণ যায় তখন তা আর মেনে নেয়া যায় না।আজ এমনি এক বিরোধে কদমরসুল গ্রামের হাছান নামের যে জেলেটির জীবন গেলো তার পরিবারের কারো চেহারা দেখে আমরা কি কোনরূপ সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পাবো?বছরের পর বছর এমন সংঘাতের ফলাফল,কিছু পরিবার তাদের উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পথে বসা।যারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে আহত বা নিহত হচ্ছে তারা কেউ জলদস্যু নয়,তারা জলবন্ধু জেলে।কোন অঞ্চলের কাউকে জলদস্যু আখ্যা দিয়ে এর সুরাহা সম্ভব নয়।বরং কুতুবদিয়া-মহেশখালী,বাঁশখালী এবং আনোয়ারা এই তিন সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের উদ্যোগে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ন্যায্যতার ভিত্তিতে কোন এলাকার জেলেরা সাগরের কতটুকু জায়গায় জাল ফেলবে তা নির্ধারণের মাধ্যমে এমনতর বিরোধের স্থায়ী সমাধান না করলে পেশিশক্তির আস্ফালন বাড়বে যা উপজেলাভিত্তিক বৃহত্তর বিরোধের পথকে সম্প্রসারিত করবে।মাথায় রাখতে হবে,কোন প্রকৃত মৎস্যজীবী যেন এলাকাকেন্দ্রিক দাপটের কবলে পড়ে সাগরে জাল ফেলার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

লেখক; সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক(২০০৩-২০১০)
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা।
বর্তমানে, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার এণ্ড হেড অফ এক্সপোর্ট, ষ্ট্যাণ্ডার্ড ব্যাংক লিঃ, খাতুনগঞ্জ শাখা।

আরও পড়ুন  চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের পক্ষে সরলে ত্রাণ বিতরণ