যশোরে সেনাসদস্যদের গাড়িতে হামলার অভিযোগে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ বিষু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও কোনও সমাধান হয়নি। তবে এখনও হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি।
যশোর সেনা ক্যাম্প অধিনায়ক বলেছেন, হামলাকারীদের শনাক্তের জন্য শ্রমিকনেতাদের ক্যাম্পে ডেকে আনা হয়েছে। হামলাকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মামুনুর রশীদ বাচ্চু বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিব হাসান ফোন করে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে বলেন, পরিবহন চলাচলের জন্য বেনাপোল টার্মিনাল ব্যবহার করতে হবে। হঠাৎ এই নির্দেশনা শুনে দুপুর ১টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ে বাস রেখে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বিকাল ৩টার দিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর গাড়ি চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড় দিয়ে যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হয়। যানজট দেখে গাড়ি থেকে সেনাসদস্যরা নেমে পরিবহন শ্রমিকদের যানজট নিরসন করতে বলেন। ওই সময় পরিবহন শ্রমিকদের মধ্য থেকে সেনাবাহিনীর ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ বিষু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানসহ চার জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়ে সন্ধ্যায় কালেক্টরেট সভাকক্ষে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে শ্রমিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেখানে নেতাদের মুক্তির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান মজনু বলেন, যারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে, তাদের পুলিশে সোপর্দ না করলে আটক নেতৃবৃন্দকে ছেড়ে দেয়া হবে না।
যশোর সদর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তফা বলেন, শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শ্রমিক ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে শ্রমিক নেতাদের ক্যাম্পে আনা হয়েছে। হামলাকারীদের তথ্য পাওয়া গেলে শ্রমিক নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।