• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
আইসিবিআই ব্যাংকের এসভিপি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান হলেন বাঁশখালীর মান্নান আশরাফ ফকির হত্যা: অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা, স্ত্রী-ছেলে কারাগারে হাটহাজারীর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিশ্ব মঞ্চে মোহাম্মদ ইকবাল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেড় বছরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে : আমীর খসরু ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় বাঁশখালীর যুবকের মৃত্যু বিএনপির প্রার্থী তালিকায় অনুপস্থিত শীর্ষ নেতারা এনসিপির দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হলেন বাঁশখালীর মিশকাত বাঁশখালী নিয়ে লেয়াকত আলীর ধারাবাহিক লেখনী ভাইরাল হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন কঃ – প্রেমের বাদশাহর রাজকীয় উপাখ্যান বাঁশখালীতে গণঅধিকারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মির্জাখীল দরবারের মৌলানা মকছুদুর রহমানের পিএইচ.ডি সম্মাননা লাভ

রিপোর্টার নাম: / ৩৯ শেয়ার
আপডেট: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে ড. মৌলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমানের পিএইচ.ডি সম্মাননা: মির্জাখীল দরবারের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়

১৪ মে ২০২৫, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিকে এক বিশাল ও গৌরবময় আয়োজনে পরিণত করে। এই আয়োজনে সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল চারজন পিএইচ.ডি ডিগ্রিপ্রাপ্তকে সম্মাননা প্রদান, যা নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজ হাতে তুলে দেন। সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মির্জাখীল দরবার শরীফের সম্মানিত উত্তরসূরি, ড. মৌলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে “Maulana Abdul Hai: An Erudite Jurist and Saint” শীর্ষক গবেষণার মাধ্যমে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার বিভাগে “Hazrat Ashraf Jahangir Simnani (R.A.) and his odd encounters in Sultanat-i-Bangalah: Mirzakhil Darbar Sharif – a case study” শীর্ষক গবেষণার জন্য এম.ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। প্রথাগত ও সাধারণ শিক্ষায় তিনি ধারাবাহিকভাবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন—দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল (হাদীস, ফিকহ, তাফসীর), বি.এ ও এম.এ পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করে তিনি বিরল কৃতিত্ব স্থাপন করেন।

তাঁর এই অর্জনকে তিনি নিছক ব্যক্তিগত সাফল্য হিসেবে না দেখে, পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগ, ইসলামী শিক্ষার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার ও মানবকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচনা করেন। তিনি এই সম্মাননা উৎসর্গ করেন তাঁর পিতা-মাতা, শিক্ষকমণ্ডলী, পূর্বপুরুষ ও বুজুর্গানেদীনের প্রতি।

মির্জাখীল দরবার শরীফ কেবল আধ্যাত্মিক কেন্দ্র নয়, এটি ছিল সামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানকার পূর্বসূরিগণ স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন—প্রধান সড়ক নির্মাণ, বাজার স্থাপন, বিদ্যুৎ সংযোগ, ডাকঘর স্থাপন, সরকারি ব্যাংকের উদ্যোগ, এবং শুষ্ক মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা করে কৃষি উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদান ছাড়াও ড. মকছুদুর রহমান একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক। তিনি হেফজখানা পরিচালনা, এতিম শিশুদের লালন-পালন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা, আত্মিক সহায়তা এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রদত্ত এই সম্মাননা শুধু এক গবেষকের স্বীকৃতি নয়, এটি মূল্যবোধ ও নৈতিকতায় উজ্জ্বল একজন ব্যক্তিত্বের জীবনযাত্রার অনন্য স্বীকৃতি। ড. মৌলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান আজ শুধুই এক জ্ঞানতাপস নন—তিনি একটি প্রেরণার নাম, যিনি জ্ঞান, নৈতিকতা ও সেবার আলোকে বিশ্বকে উদ্ভাসিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ
সিবি হসপিটাল কী? কেন? কিভাবে?