দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২৫-এ চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করেছে চট্টগ্রামের গভ. মুসলিম হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এস.এম. ইশমাম চৌধুরী। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকায় আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় স্কুল, কলেজ, ক্যাডেট কলেজ, মাদ্রাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সে এই অসাধারণ অর্জন করে।
ডা: সৌমিত্র চক্রবর্তী (সহকারী অধ্যাপক, বিএসএমএমইউ, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিয়াড।) ডানপাশের জন ডা: রাখহারি সরকার (সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিয়াড) এর সাথে এস.এম. ইশমাম চৌধুরী
ইশমামের পিতা এডভোকেট সোলতানুল আজম চৌধুরী এবং মাতা এডভোকেট ফাতেমা আকতার চৌধুরী – উভয়েই চট্টগ্রামের সুপ্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। তারা বাঁশখালী উপজেলার ১১নং পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ পুঁইছড়ির জমিদার বাড়ির বাসিন্দা।
পিতামাতার সাথে এস.এম. ইশমাম চৌধুরী
প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. সি. আর. আবরার, মাননীয় উপদেষ্টা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডা. বিধান রঞ্জন রায়, মাননীয় উপদেষ্টা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
এস.এম. ইশমাম চৌধুরী জানান, তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং বিজয়ী হয়ে জাতীয় পর্বে উত্তীর্ণ হন। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক বিজয়ী এবং স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি সম্মিলিত মেধাতালিকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন।
ইশমাম জানান, আঞ্চলিক পর্বে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা ২০% শিক্ষার্থীকে জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। পরে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে চ্যাম্পিয়ন, ফার্স্ট রানারআপ ও সেকেন্ড রানারআপ নির্বাচন করা হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মধ্যে থেকে শীর্ষ চারজন আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে কী করতে হয় জানতে চাইলে ইশমাম বলেন, “একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি উচ্চতর শ্রেণির জীবনবিজ্ঞানবিষয়ক বইগুলো ভালোভাবে অধ্যয়ন করতে হয়।” ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে স্ব জানায়, আমার স্বপ্ন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসাবিজ্ঞানী হওয়া, যেন আমি বিশ্বমানবতার কল্যাণে কাজ করতে পারি।”
ইশমামের এই অর্জনে তার পিতা-মাতা বলেন, “আমাদের সন্তান ভবিষ্যতে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসাবিজ্ঞানী হয়ে বিশ্বমানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকুক – এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।”