তানভীর চৌধুরী ▪️
মেয়েটির বাবার সারাটি জীবন পরাধীন জাতীর অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করার কারনে জেলে ও পরিবারের বাহিরে জীবন কাটে। বাবাকে খুবই কম সময় কাছে পেয়েছেন। ৬৭ সনে শেখ হাসিনার যখন বিয়ে হয় তখন তাঁর বাবা ছিলেন জেলে বন্দি। কোন মেয়ের জন্য এটা খুবই বেদনার বিষয়টি।

১৫ আগষ্ট ৭৫ সনে পুরো পরিবারকে হারান। দেশে আসতে পারেন নাই। মৃত মা বাবা ভাই বোন কারো মৃত মুখও দেখতে পারেন নাই তিনি। এখানেই শেষ নয়, ৮১ সাল পর্যন্ত দেশে আসতে দেওয়া হয়নি তাকে।

দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব গ্রহন করেন। সংগ্রাম শুরু করেন স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন দিয়ে। সারা বাঙলাদেশ ঘুরে ঘুরে দলকে গোছান, পুনরায় উজ্জবিত করেন।

২১ বছর পর আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনেন। এনেই সমাধান করেন বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় সমস্যা। শেখা হাসিনা বাঙলাদেশে ইতিহাসে অনন্য কারন তিনিই বিনা রক্তপাতে শান্তি চুক্তি করেছেন, সমুদ্র সিমা জয় করেছেন, সমাধান করেছেন ছিট মহল জটিলতা। বাঙলাদেশের সবচেয়ে বড় সফালতা গুলো তার হাত ধরেই এসেছে। তাই তিনি অনন্য। শেখ হাসিনা ছিলো বলেই দেশে জঙ্গিবাদ দমন হয়েছে। বাংলাভাই, এরশাদ ভাই, হিজবুলতাহেরি,জেএমবির মত সংগঠন দমন করেছেন। নয়তো এই দেশ হতো পাকিস্থান, আফগান। বোমার শব্দে ঘুম ভাঙতো। শেখ হাসিনা আছে বলেই বাঙলাদেশে অসাম্প্রদায়িকতা চর্চা করা সম্ভব। তিনি সকল ধর্মের বর্নের শ্রেনীর।  শেখ হাসিনা মায়ের পেটে থাকতে বাপের রাজনীতি শিখছে। শেখ হাসিনার রক্তে রাজনীতি। তিনিই রাজনীতি শেখান।আমি খুবই অবাক হই তিনি কি বিচক্ষনতার সাথে রাজনীতি সামলান। ওয়ান ইলেভেন, বিডিআর বিদ্রোহ, যুদ্ধ অপরাধী বিচার, হেফাজতের তান্ডব, বিএনপির আল্টিমেটাম, কোটা স্বংস্কার আন্দোলন সবই সামলে নিয়েছেন। স্রষ্টার রহমত আছে তার উপর। আমার কাছে মনে হয় তিনি দৈব শক্তি ধারন করেন। শেখ হাসিনার পর বাঙলাদেশের ভবিষৎ কি হবে ? ভাবতেই ভয়ে মন বিষন্ন হয়ে উঠে। শেখ হাসিনা তুমি দির্ঘ জীবী হও, বুবু তুমি দির্ঘজীবী হও। তুমি ছাড়া সোনার বাঙলা প্রতিষ্ঠা করা বহু প্রতিকুলতার।

আরও পড়ুন  ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ও আমাদের পরাজয়

লেখক;

শিক্ষার্থী,
বিএসসি ইন সিএসসি,
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *