• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২০ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
আইসিবিআই ব্যাংকের এসভিপি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান হলেন বাঁশখালীর মান্নান আশরাফ ফকির হত্যা: অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা, স্ত্রী-ছেলে কারাগারে হাটহাজারীর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিশ্ব মঞ্চে মোহাম্মদ ইকবাল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেড় বছরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে : আমীর খসরু ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় বাঁশখালীর যুবকের মৃত্যু বিএনপির প্রার্থী তালিকায় অনুপস্থিত শীর্ষ নেতারা এনসিপির দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হলেন বাঁশখালীর মিশকাত বাঁশখালী নিয়ে লেয়াকত আলীর ধারাবাহিক লেখনী ভাইরাল হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন কঃ – প্রেমের বাদশাহর রাজকীয় উপাখ্যান বাঁশখালীতে গণঅধিকারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বাঁশখালী নিয়ে লেয়াকত আলীর ধারাবাহিক লেখনী ভাইরাল

বিএ ডেস্ক / ৪৪১ শেয়ার
আপডেট: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

বাঁশখালীর বহুল আলোচিত নেতা, বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লেয়াকত আলী তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে বাঁশখালী নিয়ে তাঁর ভাবনা শিরোনামে একটি ধারাবাহিক লেখা প্রকাশ করছেন। তিন পর্বের লেখাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বাঁশখালী এক্সপ্রেস এর পাঠকদের জন্য তিন পর্বের লেখাটি তুলে ধরা হল।

পর্ব-১ : অপার সম্ভাবনার বাঁশখালীকে নিয়ে আমার ভাবনা;

পয়েন্ট-০১ : বাঁশখালীর গন্ডামারা, ছনুয়া, পুইছড়ি, শেখেরখীল, চাম্বল ও সরল অঞ্চলের লবণ ও চিংড়ি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাজারে সুপরিচিত ও প্রশংসিত , পাশাপাশি পুকুরিয়ার চা বাগান এবং পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত বিখ্যাত পান বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুনাম অর্জন করেছে। কালীপুর, বৈলছড়ি,জলদি ও সাধণপুরের লিচু বাগানও স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই বৈচিত্র্যময় কৃষি ও সামুদ্রিক সম্পদকে আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্র্যান্ডিং ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে বাঁশখালীর লিচু ও চিংড়ি সঠিক সংরক্ষণ ও রপ্তানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারে। এভাবে স্থানীয় কৃষক ও উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি পাবে, বিদেশি মুদ্রা অর্জিত হবে এবং বাঁশখালীর অর্থনীতি গ্লোবাল ইকোনমির সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুক্ত হবে।

পয়েন্ট-০২ : বাঁশখালীর সৈকত, পাহাড়, লোকসংস্কৃতি, ও ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক মানে প্রচার করলে, অন্যান্য জেলার মানুষের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকও আকর্ষণ করা যাবে। ইতিমধ্যে আমাদের প্রেমাশিয়া,কদম রসুল, খানখানাবাদ,বাহারছড়া,রত্নপুর,হালিয়াপাড়া,গন্ডামারা ও হাটখালী সমুদ্র পয়েন্টের সুনাম সারা বাংলাদেশে ছড়িয়েছে। শুধু মাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আমরা পর্যটক আকর্ষণে ব্যর্থ হচ্ছি। এদিকে যদি আমরা সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা করি তাহলে বাইরের পর্যটকও আমাদের উপজেলায় ভ্রমণে আসবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে মেরিন ড্রাইভ হওয়ার কথা আছে, আমরা যদি সেই মেরিন ড্রাইভকে বাঁশখালীর উপকুলীয় এই অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে নিতে পারি তাহলে এই অঞ্চলগুলোতে নগরায়ন হবে। আমাদের ট্যুরিজম কালচার আরও রিচ হবে। আমাদের উপজেলার সাথে অন্যান্য উপজেলার মানুষগুলোর কালচারাল মিথস্ক্রিয়া হবে। এবং ক্ষেত্রবিশেষে বিদেশি পর্যটকও আমাদের এখানে আসার স্বপ্ন দেখবে। যেটা আমাদের গ্লোবাল কানেক্টিভিটি বাড়াবে।

পয়েন্ট-০৩ : বাঁশখালীর জলকদর খালকে কেন্দ্র করে রাবার ড্যাম্প প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয় তীরে আধুনিক শিল্প এলাকা গড়ে তোলা সম্ভব এবং শঙ্খ নদীর তীর রায়ছটা,খোর্দরাতা,হাজীগাঁও,বুরুমচরা,চাঁদপুর,পুকুরিয়াতেও বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যায়। এতে স্থানীয় পর্যায়ে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বেকারত্ব কমে আসবে। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় নৌপথ পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসা ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এসেছে, যার সুফল আজ তারা ভোগ করছে। তুলনামূলকভাবে বাঁশখালী এই ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে, কারণ আমাদের উপজেলায় রয়েছে বিশাল জলকদর খাল, শন্খ নদী,পাহাড়ি প্রবাহ, এবং সমুদ্র উপকূলের সংযোগ। এটা শিল্পায়ন ও বাণিজ্যের জন্য অনন্য ভৌগোলিক সুবিধা প্রদান করবে। আল্লাহর রহমতে আমি যদি আমার দল থেকে নমিনেশন পেয়ে নির্বাচিত হই, আগামীর মডার্ণ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা তারেক রহমান ও বিএনপি সরকারের নীতির ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীর মৃত খালগুলো খনন করে নৌপথে যাতায়াত ব্যবস্থা সচল করবো। এতে স্থানীয় কৃষিপণ্য, চিংড়ি, লবণ ও ফলমূল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারেও সহজে পরিবহন করা সম্ভব হবে। এই উদ্যোগ বাঁশখালীকে গ্লোবাল ইকোনমির সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুক্ত করবে এবং একটি টেকসই উন্নয়ন মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।পয়েন্ট-০৪ : বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূল এমনভাবে অবস্থিত যে এখানে সমুদ্রের গভীরতার কোনো সমস্যা নেই—যা ডিপ সি-পোর্ট বা মিনি বন্দরের জন্য একটি আদর্শ স্থান তৈরি করে দিয়েছে,এ ছাড়াও সপ্তদশ শতাব্দীর সমুদ্র ও নৌ বন্দর হাটখালীকে পুনরায় সচল করার কার্যকর প্রকল্প গ্রহন অন্যতম। বর্তমানে শন্খ নদীর সাধু পানির খরস্রোতে ভাঙ্গনের কারণে খানখানাবাদ, কদমরসুল, প্রেমাসিয়া এবং বাহারছড়া পয়েন্টে অবিরাম ভাঙন ঘটছে, যা স্থানীয় জনগণের জীবিকা ও কৃষিজমির জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এই ভাঙন রোধ ও নদীর সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে শন্খ নদীর গতি পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। পশ্চিম দিকে প্রেমাসিয়া বাজারের পশ্চিমে নদীর ওপারে সোজা পশ্চিম দিকে খননের মাধ্যমে নদীর গতি পরিবর্তন করা সম্ভব, এতে চট্রগ্রাম বন্দর ও কর্ণফূলী মোহনার নাব্যতা বিঘ্নেরও সম্ভাবনা নেই,যা একদিকে ভাঙন রোধ করবে, অন্যদিকে নৌযান চলাচলের নতুন পথ তৈরি করবে। বিকল্পভাবে, ভাঙন রোধ করে নদীর তীরে একটি মিনি বন্দর স্থাপন করা যেতে পারে, যা চট্টগ্রাম বন্দরের সাব-পয়েন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে। এতে পণ্য পরিবহন, মৎস্য আহরণ ও রপ্তানি কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। অনেক উপকূলীয় উপজেলা যেখানে সমুদ্রের গভীরতা ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতায় ভুগছে, সেখানে বাঁশখালী সেই তুলনায় অনেক এগিয়ে—প্রাকৃতিক সুবিধা ও ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগাতে পারলেই এটি দেশের পরবর্তী ব্লু-ইকোনমি হাব হিসেবে বিকশিত হতে পারে।

পয়েন্ট-০৫ : যুব সমাজই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। বাঁশখালীতে এখনো আইটি ট্রেনিং সেন্টার, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট বা রিমোট জব হাবের অভাব রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিনিয়োগ ও সহায়তা ব্যবহার করে যদি আমরা এসব সুযোগ তৈরি করতে পারি, তাহলে স্থানীয় তরুণরা সরাসরি গ্লোবাল জব মার্কেটের অংশ হতে পারবে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি বাঁশখালীর নামও পৌঁছে যাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বাংলাদেশের আরও কিছু উপজেলা এই পথে হেঁটে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলেছে। যেমন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আইটি পার্ক ও টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার চালু হওয়ার পর বহু তরুণ এখন বিদেশি সফটওয়্যার কোম্পানির আউটসোর্সিং প্রজেক্টে যুক্ত, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন গতি এনেছে। একইভাবে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইসিটি ডিভিশনের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত “লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং সেন্টার” এখন গ্রামের যুবকদের গ্লোবাল মার্কেটে প্রবেশের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে। এই উদাহরণগুলো প্রমাণ করে— সুযোগ সৃষ্টি হলেই পরিবর্তন সম্ভব। ঠিক একইভাবে বাঁশখালীতে একটি আইটি পার্ক, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট হাব গড়ে তুলতে পারলে, এখানকার তরুণরাও গ্লোবাল কর্মবাজারে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারবে। এটাই হবে বাঁশখালীর গ্লোবাল অর্থনীতিতে প্রবেশের শক্ত ভিত্তি।পয়েন্ট-০৬ : বাঁশখালীতে রয়েছে মনোরম প্রাকৃতিক পাহাড়, ইকো-পার্ক, বনভূমি এবং বাতাস ও সূর্যের প্রাচুর্য— যা সব মিলিয়ে একে সবুজ শক্তির সম্ভাবনাময় অঞ্চলে পরিণত করেছে। এই প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশবান্ধব অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বাঁশখালীতে গড়ে তোলা যেতে পারে দেশের অন্যতম “Green Energy Zone”, যেখানে সোলার, উইন্ড ও বায়োগ্যাস এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ইতোমধ্যে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেমন কক্সবাজারের মহেশখালী ও ফেনীর সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে, তেমনি বাঁশখালীও এই ধারার অংশ হতে পারে। এতে একদিকে বিদেশি বিনিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে। পরিকল্পিত উদ্যোগ নিলে বাঁশখালী শুধু একটি উপজেলাই নয়, বরং বাংলাদেশের সবুজ অর্থনীতির মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান অর্জন করতে পারবে।

২য় পর্ব: আমাদের বাঁশখালী উপজেলায় জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট। যেগুলো চাইলে সমাধান করা যায় কিন্তু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকার কারণে নেতারা এতোদিন সেগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেননি। বর্ষাকালে আমাদের উপজেলায় কিছু ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত সমভূমিতে নেমে এসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে, আবার শুষ্ক মৌসুমে পানির স্বল্পতাও দেখা যায়। এগুলো মুলত আমাদের খালের অব্যবস্থাপনা, এবং পাহাড়ি ঝর্ণাগুলোর অব্যবস্থাপনার কারণেই হয়ে থাকছে। এই জলবদ্ধতা এবং পানির সংকট দুটোই আমাদের নিরীহ, প্রান্তিক মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমার কিছু সংযোগ প্রস্তবনা আছে। এগুলো যদি বাস্তবায়ন করা যায়, আমি আশাবাদী উপজেলার এই দুইটি সমস্যা ৫০-৬০% নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আল্লাহ যদি আমাকে খেদমত করার জন্য দায়িত্ব দেন তাহলে আমি সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো আর যদি অন্য কেউ হয়, তাদেরকে দিয়ে আপনারা এগুলো করিয়ে নিবেন। আমি সহযোগিতা করব ইনশাল্লাহ।

সংযোগ প্রস্তবনাগুলো হলো:

(১) পুইছড়ি ইউনিয়ন → ছনুয়া খালে সংযোগ: পূর্ব পুইছড়ির খাল সংস্কার করে, জঙ্গল পুইছড়ি থেকে খাল চালিয়ে (ব্রাহ্মনকাটা হয়ে) ছনুয়া খালের সঙ্গে সংযুক্ত করা। পুইছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ি ঢল থেকে নেমে আসা ঝর্ণা/ছড়ার পানি দ্রুত খালে না যেতে পারায় জমিতে ও রাস্তার নিকটে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, সেটি দূর হবে।

(২) নাপোড়া গ্রাম-শেখেরখীল ইউনিয়ন ছনুয়া খালে সংযোগঃনাপোড়া ও জঙ্গল নাপোড়ায় অবস্থিত ঝর্ণা, নাপোড়া ছড়ার সঙ্গে সংযুক্ত করে শেখেরখীল ইউনিয়নের দক্ষিণপ্রান্ত দিয়ে নিয়ে এসে ছনুয়া খালের সাথে সংযোগ করা। এটাও এই অঞ্চলের মানুষের জলবদ্ধতা জনিত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সহযোগিতা করবে।

(৩) চাম্বল ইউনিয়নের জঙ্গল চাম্বলের পাহাড়ি ঢলের পানি এবং শেখেরখীলের ঢলের পানি জলকদর খালের সাথে সংযুক্ত করা।

(৪) চাম্বল ও শীলকুপের মাঝখানে সিপাখালী খাল আধুনিকায়ন করে জলকদরের সাথে সংযুক্ত করলে এই অঞ্চলের পানি প্রবাহ সুসংহত হবে।

(৫) মনকিচর নোয়াঘোনা ও কাহারঘোনা মধ্যবর্তী এলাকায় প্রবাহিত জালিয়াখালি খালের সঙ্গে জলদীর বড়ুয়ার ছড়া সংযুক্ত করা যাবে। এছাড়া সেটার বিস্তৃতি উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ছড়ার সঙ্গেও যুক্ত করা যাবে।

(৬) সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা এবং কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ই তলীর মাঝ দিয়ে প্রবাহিত খালের সঙ্গে পাইরাং ছড়া এবং জঙ্গল পাইরাং সংযোগ স্থাপন করা গেলে বৈলছড়ী ইউনিয়নের জলাবদ্ধতাও নিরসন হবে। (৭)কালীপুর ইউনিয়নের ছড়া, জঙ্গল কালীপুরের সংযোগ স্থাপন করে বাহারছড়া ইউনিয়নের বাঁশখালা ও কাথারিয়া ইউনিয়নের মানিকপাঠান বাঘমারা দিয়ে প্রবাহিত ওনাইছড়ি খালের সংস্কার করা গেলে বহুমুখী সমস্যার সমাধান এবং সম্ভাবনা তৈরি করা যাবে।

(৮) গুণাগরি ও চাপাছড়ি দিয়ে প্রবাহিত খালকে জঙ্গল কোকদন্ডী এবং জঙ্গল গুনাগরির ছড়ার সাথে সংযোগ করে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করা যায়

৯)সাধনপুর ইউনিয়নের ছড়া সংস্কার করে জলকদর খাল-এর সাথে সংযুক্ত করা গেলে যেকোনো মৌসুমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

১০)পুকুরিয়া ইউনিয়নের পূর্বাংশেও পাহাড়ী ঢল ও সাতকানিয়া থেকে নেমে আসা পানি দ্রুত সাংগু নদীতে চলে যাওয়ার প্রকল্প গ্রহণ জরুরী। ১১)ছনুয়া,বড়ঘোনা,গন্ডামারা,সরল,রত্নপুর,বাহারছড়া,খানখানাবাদ,ডোংরা,কদমরসুল,প্রেমাশিয়া,রায়ছটা প্রত্যেকটা গ্রামে প্রয়োজনীয় খাল খনন করে পূর্বে জলকদরে সংযোগ করে দিলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসন হবে এবং খালগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ না করার সাইন্টিফিক ব্যবস্থা থাকতে হবে। উপরোক্ত সংযোগ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের বাঁশখালীর মানুষ জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃস্থাপিত হবে, ফলে আশেপাশের প্রান্তিক কৃষকরা আর জমিতে সেচের জন্য ভোগান্তিতে পড়বে না।এছাড়া ঝর্ণা ও খালের দুই তীরে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণকরে টেকসই উন্নয়ন কাঠামো নির্মাণ করা গেলে, সেখানে বিভিন্ন প্রকল্প স্থাপন সম্ভব। বিভিন্ন কোম্পানি এবং সরকারি মন্ত্রণালয় এগুলো করার জন্য বসে থাকে। এটা করা গেলে বাঁশখালীর প্রান্তিক মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে।

বিশেষ পরিকল্পনাঃ(ক) শেখেরখীল ফাঁড়ির মূখ,সরকার হাট ও চাম্বল বাংলা বাজার,ছনুয়া ও হাটখালীতে মৎস্য আহরন,সংরক্ষন,বিপনন ও রপ্তানী প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে বাঁশখালী অর্থনৈতিকভাবে অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

(খ) বাঁশখালী প্রধানতম এবিসি সড়ক চার লেনে উন্নীত,সাগরপাড়ে মেরিন ড্রাইভ ও ছনুয়া থেকে রায়ছটা পর্যন্ত মৌলানা আশ্রফ আলী সড়ক (হাটখালীতে ২০০ মিটারের একটি ব্রীজ সহ) এবং সাংগু নদীর উপর আরো একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে বাঁশখালী একটি মডেল এলাকায় পরিনত হবে। পাশাপাশি কুতুবদিয়া পেকুয়া ও আনোয়ারাও ম্যারাথন ডেভলপের আওতায় চলে আসবে। বিষয়গুলো আমার একান্ত নিজস্ব ভাবনা,আমার তকদ্বির ফেভার নাও করতে পারে ভবিষ্যতে যিনি পার্লামেন্টে বাঁশখালীর প্রতিনীধিত্ত্ব করবেন তাঁকে বিষয়গুলো অবহিত করলাম। আমরা যারা বাঁশখালীতে জম্ম নেয়া রাজনীতিক ও আমলা-সকলের মনে রাখা উচিৎ, বাঁশখালীর মানুষ আমাদের যানাযার মুসল্লি।

৩য় পর্ব : শিক্ষা, সংস্কৃতির অগ্রগতি সাধন ও গুণী ব্যক্তিবর্গ স্মরণে করণীয় নির্ধারণঃ বাঁশখালীর স্কুল ও কলেজগুলোকে আধুনিকায়ন করা এখন সময়ের দাবি। উপজেলায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও শিক্ষার মান দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামোগতভাবে সংস্কার করা হলে এবং একাডেমিক পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করা গেলে, বাঁশখালীর শিক্ষার্থীদেরকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হবে। একসময় বাঁশখালীর মাদ্রাসাগুলোর সুনাম সমগ্র চট্টগ্রামজুড়ে ছড়িয়ে ছিল, এখন তা অনেকটাই হারিয়ে গেছে। উপজেলার দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাগুলোকে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা গেলে অনেক গুণী আলেম ও বিদ্বান ব্যক্তিত্ব তৈরি করা সম্ভব। এতে মাদ্রাসা শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আর অন্য উপজেলায় যেতে হবে না।কারিগরি শিক্ষার প্রসার আজ অত্যন্ত প্রয়োজন। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তবজ্ঞান অর্জন করে সমাজ ও দেশের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু বাঁশখালীতে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব প্রকট। তাই নতুন কারিগরি প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও বিদ্যমানগুলোকে আধুনিকায়ন করা জরুরি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৩১ দফা কর্মসূচিতে উৎপাদনমুখী শিক্ষাব্যবস্থার ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছেন, তা এখানেও প্রযোজ্য। কোরিয়া ও জাপানের উন্নয়নের পেছনে উৎপাদনমুখী শিক্ষার বড় অবদান রয়েছে—বাঁশখালীও সেই দিকেই এগোতে পারে।বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহী থাকে। তারা যদি বিদেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারে, তবে বিদেশে ভালো সুযোগ পাবে। তাই বাঁশখালীতে একটি ফরেন ল্যাংগুয়েজ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা এবং স্কুল-কলেজে বিদেশি ভাষা শিক্ষার কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। এতে শিক্ষার্থীরা ভাষাজ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বৈশ্বিক কর্মবাজারেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে।সংস্কৃতি সমাজের আত্মা,বর্তমান বিশ্বে সাংস্কৃতিক অগ্রগতি একটি জাতির মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। বাঁশখালীতে বিভিন্ন ধরনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বিদ্যমান, কিন্তু তা সঠিকভাবে প্রকাশ ও সংরক্ষণের সুযোগ খুব সীমিত। প্রতি স্কুল ও কলেজে যদি সাংস্কৃতিক ক্লাব গঠন করা হয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তবে বাঁশখালীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আরও বিকশিত হবে এবং নতুন প্রজন্ম নিজেদের সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন হবে।বাঁশখালীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ‘Back to the Upazila’ কর্মসূচির আওতায় যুক্ত করে প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে। এতে তারা উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনা বিষয়ে তরুণদের দিকনির্দেশনা দিতে পারবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল বাঁশখালীবাসীদের নিয়ে উপজেলা সদরে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন আয়োজন করা যেতে পারে, যাতে তরুণরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ পায়।আমাদের উপজেলায় বহু প্রখ্যাত গুণীজন ছিলেন ও আছেন, যাঁরা এই জনপদের নাম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও পরিচিত করেছেন। তাঁরা বাঁশখালীর অমূল্য সম্পদ। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই তাঁদের সম্পর্কে তেমন জানে না। তাই তাঁদের অবদান ও জীবনী সংরক্ষণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া জরুরি। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে তাঁদের স্মৃতি ও অবদান নিয়ে বিশেষ দিবস পালন বা প্রদর্শনী আয়োজন করা যেতে পারে।

অন্যদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিগুলোতে প্রায়ই রাজনৈতিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় অযোগ্য বা অদক্ষ ব্যক্তিরা এসব কমিটিতে জায়গা পান, ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুণগত মান নষ্ট হয়। যদি এই পরিচালনা কমিটিগুলোতে স্থানীয় শিক্ষিত, সৎ ও গুণী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা যায়, তবে শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।উপজেলা শিক্ষা অফিসকেও আরও কার্যকর করতে হবে। অনেক সময় প্রশাসনিক জটিলতার কারণে শিক্ষকরা আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও সঠিকভাবে পাঠদান করতে পারেন না। এসব আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে শিক্ষা অফিসকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনলে শিক্ষার গতি বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবছর শিক্ষাখাতে যে বাজেট বরাদ্দ হয়, তা স্বচ্ছভাবে জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত। বাজেটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষা খাতে দুর্নীতি কমবে এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।বাঁশখালীর শিক্ষা বিস্তারে যাঁরা বিশেষ অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পুঁইছড়ীর ইজ্জত আলী চৌধুরী, মৌলানা আব্দুর রহমান (এখনও জীবিত), নাপোরার শ্রীনাথ শাস্ত্রী, মাস্টার নজির আহমদ চৌধুরী, ছনুয়ার নুরুল কাদের চৌধুরী, অধ্যক্ষ আকরামুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী অলি মিয়া সিকদার, শেখেরখীলের হযরত মৌলানা এলাহী বক্স (রহ.), হযরত মৌলানা ইসহাক হুজুর (এখনও জীবিত), মাস্টার ইদ্রিস, চাম্বলের হামিদ আলী চৌধুরী আলীগ, মৌলানা ইদ্রিস (রহ.), মৌং হাবিবুর রহমান, শাকের উল্লাহ (এখনও জীবিত), বড়ঘোনার মৌলানা আব্দুর রহমান (রহ.), মৌলানা শফিকুর রহমান নঈমী (রহ.), মোজাহেরু হক চৌধুরী (এখনও জীবিত), হাজী মৌলানা নুরুল আবছার সিকদার, মৌলানা জাবের আহমদ সিকদার, গন্ডামারার শহীদ মৌলানা আহমদ হোসেন, মৌলানা আব্দুল মজিদ (রহ.), মৌলানা আলমগীর (রহ.), শীলকুপের জ্ঞানপাল মহাথেরো, আবুল হোসেন মিয়া, আমির হোসেন ভান্ডারী, জলদির শেখ ওয়াজেদ আলী চৌধুরী, শেখ মরতুজা আলী চৌধুরী, মৌলানা আবুল হোসাইন (রহ.), মৌলানা মোহাম্মদ আলী (রহ.), অনন্ত মোহন মহাজন, প্রিয় রত্ন মহাথেরো,মনছুরিয়ার মৌলানা আব্দুল হক(রহঃ),হাজী বদিউর রহমান, সরলের আমির হামজা চৌধুরী, জালিয়াঘাটার মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (এখনও জীবিত), মিনজিরিতলার আব্দুল জব্বার চৌধুরী, মৌলানা আবু বক্কর সিকদার (এখনও জীবিত), বৈলছড়ীর আমিরুলহাজ্ব খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী, মৌলানা মোজাফফর আহমদ(রহ.), আহমদুল ইসলাম চৌধুরী (এখনো জীবিত), মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী (এখনো জীবিত), কাথারিয়ার শেখ ফরিদ আহমদ চৌধুরী,মৌলানা বজল আহমদ ইসলামবাদী,কালিপুরের ইউ. এন. সিদ্দিকী, মৌলানা আনোয়ার হোসেন (আনু ফকির রহ.), গুনাগরীর মফজল আহমদ চৌধুরী, পালেগ্রামের মৌলানা সোলতান আহমদ (রহ.), কোকদণ্ডীর পীর এ কামেল হযরত মৌলানা আব্দুস সালাম হুজুর (এখনও জীবিত), গুনাগরীর সৈয়দুল মুস্তাফা চৌধুরী (এখনও জীবিত),মৌলানা নুরুল আবচার জালালী(এখনো জীবিত),বাহারছড়ার ড. আব্দুল করিম স্যার, মাস্টার ফয়েজ আহমদ, এড. আবু সালেহ চৌধুরী, মৌলানা আনোয়ারুল ইসলাম (এখনও জীবিত), মজিবুর রহমান চৌধুরী (এখনও জীবিত), ইলিয়াস চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা জাকরিয়া সিদ্দিকী, ছালেহ আহমদ (ছলু কন্ট্রাক্টর), এড. কফিল উদ্দিন চৌধুরী (এখনও জীবিত), খানখানাবাদ ইউনিয়নের হাফেজ নুর আহমদ মুনিরী (রহ.), বেদার বক্স, মৌলানা মজিবুর রহমান হুজুর (এখনও জীবিত, যিনি ইলশা বক্সি হামিদ রহ. মাজারের পাশে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন), আব্দু সবুর, মৌলানা আব্দুল জব্বার (এখনও জীবিত), সাধনপুর ইউনিয়নের অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমদ (সাবেক এমএনএ), গিরিন্দ্র চন্দ্র রায়, সুরেন্দ্র চন্দ্র রায়, নগেন্দ্র কুমার রায়, মাস্টার মালেকুজ্জমান চৌধুরী, হিমাংশু বিমল ভট্টাচার্য, জসিমুল ইসলাম, পুকুরিয়ার জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মাহবুব আলম আনোয়ার, মৌলানা হোসেন আহমদ ভাসানী, মৌলানা মিসবাহুল হক, মৌলানা আব্দুল হাফেজ, মোস্তাকিমুল হায়দার খান (এখনও জীবিত) এবং আরও অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন—যাঁদের নাম এই মুহূর্তে মনে নেই বলে দুঃখিত।এই শ্রদ্ধেয় গুণীজনদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাঁদের অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ
সিবি হসপিটাল কী? কেন? কিভাবে?