ইউনিয়ন ব্যাংকের একটি শাখার ভল্টে রক্ষিত টাকার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ জন্য প্রকৃত ঘটনা ও প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ইউনিয়ন ব্যাংকের অবস্থান ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করছি। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই আমরা বলতে চাই যে, গণমাধ্যমে যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে ভুল বুঝাবুঝির কারণে হয়েছে। প্রকৃত ঘটনাটি হচ্ছে, গত ১৯/০৯/২১ তারিখ ব্যাংকিং লেনদেন শেষে সন্ধ্যার পরে শাখায় একজন গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহক নগদ টাকা নেওয়ার জন্য উপস্থিত হন। গ্রাহকের গুরুত্ব এবং ব্যাংক- গ্রাহক সর্ম্পক বিবেচনায় তাঁর কাছ থেকে চেক জমা রেখে নগদ টাকা প্রদান করা হয়। পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংক অডিট টিমের উপস্থিতিতে গ্রাহকের চেক ডেবিট করে উক্ত টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের অর্থ হারানোর মতো কোন ঘটনাই ঘটেনি। তারপরেও বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করার জন্য ইতোমধ্যে নির্মোক্ত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
১। ইতোমধ্যে শাখার সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২। বিষয়টির সঠিক তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। কমিটির প্রতিবেদন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমানত, বনিয়িোগ ও সম্পদের দিক থেকে ইউনিয়ন ব্যাংকই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে। এটি ইউনিয়ন ব্যাংক গ্রাহকদের সীমাহীন আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার ফসল বলে আমরা মনে করছি। ২০১৩ সালে যাত্রার পর থেকে ইউনিয়ন ব্যাংক কর্পোরেট সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অর্জিত সুনাম অক্ষুন্ন রেখে ভবিষ্যতেও আমরা পথ চলতে চাই। এতদিনের পথ চলায় দেশের গণমাধ্যমের যে সহযোগিতা ইউনিয়ন ব্যাংক পেয়েছে, আগামীতেও তা অক্ষুন্ন থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।