Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঠিকাদার রাস্তা খুলে চলে গেছে; জনজীবনে ভোগান্তি চরমে

দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে কোন সংস্কার নাই। খানাখন্দে ভরে গিয়ে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মুখোমুখি। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভার আস্করিয়া হয়ে সরল ইউনিয়নের খালাইচ্ছার দোকান সড়কটি ধরে প্রতিদিন আনুমানিক পাঁচ হাজার মানুষের চলাচল। স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রসূতি মা, বয়োবৃদ্ধ মানুষের চলাচলে চরম নাকাল হচ্ছে। তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটিই সরল ইউনিয়নের চলাচলের অন্যতম সড়ক । সম্প্রতি সংস্কার হবে মর্মে ইট খুলে ফেলা হলে অবস্থার আরো অবনতি হয়, বেড়ে যায় জনদুর্ভোগের মাত্রা। একটু খানি বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘ ২৩ বছরেও এই সড়ক কখনও সংস্কার করা হয়নি। এই দাবির সঙ্গে একমত জনপ্রতিনিধিও। এলাকাবাসীর প্রশ্ন সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার এত উন্নতি তবুও পিছিয়ে কেন বাঁশখালী? এই দুর্ভোগের শেষ কোথায়।

আস্করিয়া হয়ে খালাইচ্ছার দোকান সড়ক

স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দুল আলম বলেন, ‘দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে আর কখনও সংস্কার হয়নি। সরল ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদর কার্যত এক প্রকার বিচ্ছিন্ন। এ সড়কে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।সড়কটি সংস্কারের কথা বলে ইট গুলো খুলে ফেলা রাখা হয়েছে গত দুই বছরেরও বেশি।’

স্থানীয় বাসিন্দা সেনা সদস্য আনোয়ার ইসলাম বলেন, গত এপ্রিল মাসে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। বাহির থেকে আমাদের কোন বন্ধু, আত্মীয় স্বজনরা আসলে এক প্রকার বিরক্ত হয়ে গালি দেয়।

স্থানীয় সিএনজি চালক মনির হোসেন অনেকটা,ক্ষোভ ও ঠাট্টাচ্ছলে বলেন গাড়ির ইঞ্জিনের সাথে শরীরের নাটবল্টুও ঢিলে হয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন টেলিভিশনে দেখলেও বাঁশখালী কেন বঞ্চিত? পুরো বাঁশখালীর অভ্যন্তরীণ সব কটি সড়কের বেহাল দশা। পেটের দায়ে, গাড়ির ১২ টা বাজিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি ।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সরল ইউনিয়নের সড়কের তিন কিলোমিটার রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় কাদা-পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন  প্রচারবিমুখ রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক নিরবে মানুষের উপকার করে গেছেন

স্থানীয় চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘ওই সড়কটি টেন্ডার হয়েছিল। কাজ শুরু করে ঠিকাদার কাজ না করে চলে গেছে। এখন নতুন ভাবে আবার টেন্ডার হলে কাজ শুরু হবে। আপাতত এই সপ্তাহের মধ্যে কিছু রিপেয়ারিং করে দিবো। যাতে যানবাহন চলাচল করতে পারে।’

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলার প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ‘ঐ সড়ক ঠিকাদার কাজ অসম্পূর্ণ রেখে চলে গেছে। তাঁর লাইন্সেন্স বাতিলের জন্য প্রক্রিয়া চলমান। ইতমধ্যে তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে। তিন মাসের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন এর কাজ সমাপ্ত করা হবে।