Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তাঁরা নৌকার দাবীদার ; নৌকা হবে কার? (২য় কিস্তি)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সাজ সাজ রব উঠেছে। যদিও বিরোদী দলীয় রাজনৈতিক দল গুলো তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবী দাওয়া নিয়ে মাঠে ময়দানে। আন্দোলনে তাঁরা সফল হবেন নাকি ব্যর্থ হবেন সেটা সময় বলে দিবে। আমাদের আজকের আয়োজন সংসদীয় আসন ২৯৩ চট্টগ্রাম বাঁশখালী (১৬) আসনে সরকার দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে কারা কারা অবতীর্ণ হচ্ছেন এবং তাঁদের নিয়ে মাঠে ময়দানে নেতাকর্মীরা কী ভাবছেন তা নিয়ে। দলীয় বেশ কিছু নেতা কর্মীর সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তাঁদের কাছে শুধু জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কোন ইতিবাচক ভূমিকার কারনে, অবস্থানের নৌকা প্রতীক পেতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মাঠ থেকে যেসকল তথ্য আমরা পেয়েছি তা হুবুহু কৌতুহলী জনসাধারণের পাতে তুলে দেয়া হল। মাঠে ময়দানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহকারী আলোচিত ১৩ জন প্রার্থী নিয়ে এই প্রতিবেদন। যদিও ইতমধ্যে ১৮ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

(উল্লেখ্য এই প্রতিবেদন জেষ্ঠতা কিংবা পদ পদবীর উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়নি)

(১ম কিস্তির বিশ্লেষণ পড়তে ক্লিক করুন)

৬. মেজর (অব.) ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী :
পশ্চিম বাঁশখালীর এই তুখোড় মেধাবী মুখ ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একাডেমিক পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে উর্ধ্বতন কর্মকতা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তৎকালীন সরকারের আমলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বোম ডিসপোজাল টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এবং সেই মামলার গঠিত কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । এবং সাক্ষী হিসেবে নিজের পর্যবেক্ষণের তথ্য পরিবর্তনে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে তাঁকে সে সময় চাকরিচ্যুত করা হয়। পরবর্তীতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে তাঁকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন করা হয়। জনাব সামসুদ্দীন পশ্চিম বাঁশখালীর একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা আজিজ আহমদ তালুকদার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় সম্মানিত, পরিচিত ছিলেন । মাতা আনোয়ারা বেগম চন্দনাইশ উপজেলার ৩৬ বছরের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের সাহেবের মেয়ে। তাঁর পিতা মাতা জীবদ্দশায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভূমি দান, আর্থিক আনুকূল্য দান করে পশ্চাৎপদ জনপদে শিক্ষাবিস্তারে ভূমিকা রাখেন। পিতা-মাতার রক্তের স্রোত সন্তানের উপর সমভাবে বহমান। বর্তমানে পিতা মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত আজিজ আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মেধা বৃত্তি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অনুসারী সমর্থকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর ত্যাগ, নিবেদন আর অবস্থান মূল্যায়ন করেন জনাব সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী হবেন বাঁশখালীর আওয়ামী রাজনীতির বড় চমক। এবং একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার যে দক্ষতা, যোগ্যতা, কানেক্টিভিটি দরকার সবটাই তাঁর আছে। এবং দেশব্যাপী উন্নয়নের যে মহা যজ্ঞ চলছে সেই মহাযজ্ঞের সঙ্গী হবেন বাঁশখালী ও বাঁশখালীবাসী।

আরও পড়ুন  বরিশালে আ.লীগের ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

৫. ড. জমির উদ্দিন সিকদার :
রাজনৈতিক পরিচিতি ধর্তব্যে নিলে জনাব সিকদার জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর উপকমিটিতে সহ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত আছেন। স্থানীয় রাজনীতিও সক্রীয় হয়ে উঠেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত দক্ষিণ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগ এর কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি স্থানীয় রাজনীতি চর্চার নিয়ামক বলে ধরে নেয়া যায়। রাজনীতির বাইরে সংগঠক ও শিক্ষানুরাগি হিসেবে আলাদা একটা পরিচিতি নিজের করে নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, ঢাকার সভাপতি ও বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়া তারই প্রতিফলন। সেইসাথে করোনাকালীন সময়ে যেভাবে ছিন্নমূল মানুষের কাছে সহয়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছিল। সমর্থক, অনুসারী, এলাকাবাসীর নিকট পরিচ্ছন্ন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিগনিত। তাঁরা আশা করে জনাব সিকদার যেভাবে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে চষে বেড়াচ্ছেন নিজের যোগ্যতা প্রমাণে ছুটে বেড়াচ্ছেন তাতে কেন্দ্র তাঁর উপর আস্থা রাখলে বাঁশখালীতে নিঃসন্দেহে চমক হিসেবেই আসবেন।

৪. আবদুল্লাহ কবির লিটন :
অনুসারী, নিজের সৃষ্ঠ নেতা কর্মীর কাছে তিনি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। জনাব লিটনের একাডেমিক, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড সমুজ্জ্বল। সেন্ট স্কলাসস্টিকা স্কুল থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি, লন্ডনের স্কুল অব ইকোনোমিক্স থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অজন করেন। ১৯৮০ সালে সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পরবর্তীতে কয়েকদফা দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। দক্ষিন বরুমছড়ার ঐতিহ্যবাহী মিয়া বাড়ির বীমা কর্মকর্তা নুরুল কবিরের জৈষ্ঠ সন্তান। সুন্দর বক্তৃতা রাখায় বাঁশখালীর রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিসেবে আলাদা যোগ্যতা বহন করেন। জনাব লিটনকে এইবারে হট ক্যান্ডিডেট ভাবা হচ্ছে। ২০১৩ সালে সেসময়ের দলীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বাঁশখালী থেকে তাঁর নাম ঘোষনা করেছিল। দলগত কৌশলের কারনে সেসময় রেস থেকে ছিটকে যান। অনেকটা কোনটাসা অবস্থায় থাকার পরেও তিনি বাঁশখালীর প্রতি কোনায় কোনায় যেভাবে নেতা কর্মী সৃষ্টি করেছেন তা অভাবনীয়। বাঁশখালীতে বর্তমান স্থানীয় পর্যায়ে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁরা কোননা না কোনভাবে লিটন সাহেবের রাজনৈতিক দীক্ষায় দিক্ষিত, পরামর্শে ঋদ্ধ । এটা তাঁর কট্টর সমালোচকরাও স্বীকার করবেন। শৃংখলিত, ডেডিকেটেড কর্মীবাহিনী নিয়ে লিটন সাহেব অনেকটা এগিয়ে থাকবেন। নেতা কর্মী, অনুসারীদের দাবী বাঁশখালী হতে নৌকা এবার লিটন সাহেবের হাতেই উঠছে। কারন হিসেবে তাঁদের দাবী ২০১৩ সালে যেহেতু তিনি বঞ্চিত হয়েছেন, এই বিষয়টা সামনে নিয়ে তাঁরা শতভাগ আশাবাদী। টপ ফোরের একজন আবদুল্লাহ কবির লিটন।

আরও পড়ুন  আনোয়ারা বাঁশখালী উপকূলে লবণবাহী ৩০ ট্রলার ডুবি ; নিখোঁজ শতাধিক, উদ্ধার ২২

৩. চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী :
উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক কৌশলী ভূমিকায় দেখা গেছে চৌধুরী মোহাম্মদ গালিবকে। নিরবে নিজের অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের উন্নয়নে স্লো এন্ড স্টিডি পরিকল্পনায় আগাচ্ছেন। কোন আহামরি প্রচার প্রচারণা নেই, নেই কোন হাকডাক। পরিপক্কতা নাকি সতর্কতা বলা মুসকিল। বিগত চার বছরে মিডিয়া থেকে দূরে থেকেছেন, সংবাদ কর্মীদের সবিনয়ে দূরে রেখেছেন। পিতা প্রয়াত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরীর (সোলতান মিঞা) সন্তান হিসাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলাদা গ্রহনযোগ্যতা, আদর, সমাদর তিনি পারিবারিক সূত্রেই পেয়েছেন। দলীয় প্রধানের কাছ থেকে শুরু করে হাই কমান্ড পর্যন্ত সহজ একটি একসেস তাঁর রয়েছে। অনুসারীদের মতে নেত্রীর কাছে সুলতান সাহেবের আদর কদর অন্য রকম ছিল। লালদিঘির ময়দানে প্রতিপক্ষের আক্রমনে জীবন বাজি রেখে শেখ হাসিনার জন্য মানব প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সোলতান মিঞা। সেই সোলতান মিঞার পুত্র গালিব মিঞার আলাদা গুরুত্ব, আবেদন তো থাকবেই। বাঁশখালীতে আজকে যারা আওয়ামী রাজনীতির ধারক বাহক তাঁদের বেশিরভাগ সোলতান মিঞার হাতেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত , হাতে গড়া। তারই রক্তের নিশানা চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব। যারা সোলতান মিঞাকে ভালবাসত তাঁদের সমর্থন গালিবের প্রতি থাকবেই। বাঁশখালী এক্সপ্রেসের জরিপ ও বিশ্লেষণ অনুযায়ী নৌকা প্রতীক প্রাপ্তির সম্ভাবনায় গালিব টপ থ্রির যাত্রী।

২. মুজিবুর রহমান সিআইপি :
বাঁশখালীতে শিক্ষায় মাস্টার নজির আহমদ পরিবার নিরবে বিপ্লব ঘটিয়ে যাচ্ছে। ১টি সরকারি কলেজ ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে পাশের হারে নগরের সাথে টেক্কা দিয়ে যাচ্ছে মাস্টার নজির আহমদ কলেজ। চট্টগ্রামের ৩য় শীর্ষস্থানীয় আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বদেশ এই পরিবারের অবদান। এবং প্রকাশনার শুরু থেকে এটার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছে মুজিবুর রহমান সিআইপি। দেশের অন্যতম শিল্পগ্রুপ স্মার্ট গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বপালন করছে দীর্ঘদিন ধরে। শিকড় থেকে শিখরে নিয়ে গেছেন সেই গ্রুপ কে। রপ্তানি খাতে অনবদ্য ভূমিকা রেখে সরকারের কাছে কমার্সিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন (সিআইপি) হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন। নিজেদের শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের তথা বাঁশখালীর বেকার সমস্যা সমাধানে সিআইপি পরিবারের ভূমিকা অনবদ্য। পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অনুদান সর্বজন বিদিত। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগ এর আগের কমিটিতে অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নবগঠিত কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সমর্থকদের দাবী মাঠে ঘাটের রাজনীতিতে খুব একটা দেখা না গেলেও হাই কমান্ডের লবিং শক্ত থাকায় নৌকা প্রতীক উঠছে তাঁদের নেতার হাতেই। নেতা কর্মী, প্রাপ্ত জরিপ অনুযায়ী জনাব মুজিব টপ ২ এর যাত্রী।

আরও পড়ুন  দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এমপ্লফয়িজ ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

১. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি :
দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি। প্রয়াত সংসদ সদস্য সুলতানুল কবির চৌধুরীর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে বাঁশখালীর রাজনীতি ভার সামাল দিয়েছেন। দলের সুসময়ে কিংবা দুঃসময়ে দুটোর কালোত্তীর্ণ যাত্রী। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বার বার সরল স্বীকারোক্তি নেত্রী সুযোগ দিয়েছেন বলেই তিনি এমপি হতে পেরেছেন। দলীয় প্রধানের জন্য আন্তরিকতা নিয়ে হোক, কিংবা নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দৃঢ় করার জন্য হোক এমন কিছু কাজ করেছেন যেখানে নিজের ঝুঁকি আছে জেনেও তিনি তা করেছেন এবং বার বার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। এমন অবস্থাও গেছে এই বুঝি দলীয় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন। সকল জল্পনা কল্পনা মিথ্যে প্রমান করে দুই দুইবার বাঁশখালীর সংসদ সদস্যের মেয়াদ সমাপ্ত করেছেন। তাই অনুগত অনুসারী, নেতাকর্মীর আত্মবিশ্বাসের পারদ এবারও ঊর্ধ্বগামী। তাঁদের দাবী গেমপ্লের অংশ হিসাবে কোচ আর অধিনায়ক যেমন উইনিং কম্বিনেশন ভাঙ্গতে চাননা ঠিক তেমনি নেত্রিও তাঁর উইনিং কম্বিনেশন অটুট রাখবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোস্তাফিজ সাহেবের ঘনিষ্ঠ একজন নেতা জানান, বাঁশখালীতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ দীর্ঘ দুইমেয়াদে উন্নয়ন করার সুযোগ পেয়েছেন এবং তিনি সাধ্যমত করেছেনও। আরেকটা বিষয় মোস্তাফিজ সাহেব এর আমলে কেউ মামলা হামলার শিকার হননি। চাইলে তিনি করতে পারতেন, এই মর্ম বুঝবে যখন মোস্তাফিজ সাহেব থাকবেন না। সচেতন মহলের ধারণা এইবার মোস্তাফিজ সাহেবকে বড় বেগ পেতে হবে। ইতমধ্যে ১৮ জন দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। মানসিকভাবে একটা চাপে তিনি থাকবেন তবে অতীতেও চাপকে জয় করে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। উপরন্তু একটি শিল্পগোষ্ঠীর বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে বাঁশখালীতে। তাঁরা বাঁশখালীর অভিভাবক হিসেবে কার উপর আস্থা রাখছেন সেটাও একটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। এই গ্রুপের সমর্থন যদি রানিং এমপির উপর থাকে তবে সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। মোট কথা দল যদি উইনিং কম্বিনেশ ধরে রাখতে চায় সে ক্ষেত্রে মোস্তাফিজ সাহেব অটো চয়েস বলা যায়। বাঁশখালী এক্সপ্রেসের জরিপ ও মাঠ থেকে প্রাপ্ত জরিপ অনুযায়ী এইবারের টপার মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি।

নোট : উক্ত প্রতিবেদন মাঠ থেকে প্রাপ্ত তথ্য,জরিপ, দলীয় নেতাকর্মী, অনুসারীদের মতামতের উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে। সচেতন মহলের দাবি যিনিই আসুক তিনি যেন বাঁশখালীবাসির মৌলিক সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হোক, সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আসুক। একজন সত্যিকার অভিভাবক হয়েই আসুক।