শেষ পর্যন্ত সকল শংকা, অনিশ্চয়তাকে উড়িয়ে দিয়ে মহা আড়ম্বরে সমাপ্ত হল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন শারদীয় দুর্গোৎসব। সেই তৃপ্তি তাঁদের চোখে মুখে।
বাঁশখালীর পূর্ব চেচুরিয়া হিন্দু পাড়ায় শ্রী শ্রী আনন্দময়ী মন্দিরে কমিটির আয়োজনে চোখে পড়ল বিভিন্ন আয়োজন। ধুনচি নৃত্য, জলের ফুটবল, রাম সীতা, মহাকালী, শিব তান্ডব নৃত্য ও দেবি দূর্গার শক্তি স্বরূপ নাটিকা পরিবেশিত হয়। প্রতীমা বিসর্জনের মাধ্যমে সেই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্ত হয়। ভালভাবে শেষ হওয়ার স্বস্থি প্রকাশ করেন আয়োজক কমিটি ও দর্শনার্থীরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেবী দুর্গা স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটানোর পর তিনি আবার কৈলাসে ফিরে যান। এই পাঁচদিন ধরে ভক্তরা দেবীর বন্দনা করেন।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী মন্দির সংলগ্ন দিঘিতে বাশের ভেলায় চড়ে আতশবাজিতে, ঢাকঢোল বাজিয়ে, দেবি দুর্গাকে নিয়ে সাত পাক ঘুরে বিসর্জন দেয়া হয়। দীঘির চারপাশে দর্শনার্থীদের ভীড়, রঙিন আলোর ঝলকানি, নানা বয়সি মানুষের উদযাপন অন্য রকমের আবহ তৈরী করে।
বিসর্জন শেষে বাঁশখালী এক্সপ্রেস এর মুখোমুখি হয় মন্দির ও পূজো কমিটির নেতারা। তাঁদের অভিব্যক্তিতে ফুটে উঠল স্বস্তি আর তৃপ্তি।
প্রতি বছর পূজো আসলেই একটা অজানা আশংকা ভর করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। বিষয়টি সমভাবে বিব্রতকর নাগরিক সমাজের জন্য। সব আশংকা উড়িয়ে দিয়ে ভালভাবে শারদীয় উৎসবটি সমাপ্ত হওয়ায় প্রশাসন, নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে।