মোসলেম উদ্দিন, বঙ্গোপসাগর বিধৌত উপজেলা বাঁশখালীর উপকূলের মেধাবী সন্তান। শুধু মেধাবী বললে তার প্রতিভার যথাযথ প্রকাশ হয়না। তার ব্যক্তিপরিচয় জানার আগে জেনে নিই কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য।
চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিচার্স এন্ড হাইয়ার স্টাডি সোসাইটির ফেসবুক গ্রুপে উক্ত সংস্থার নির্বাহী সদস্য কাবেরী দত্ত অদ্রি তার ইংরেজি ভাষায় করা ফেসবুক পোস্টের ভাষান্তর করে দেয়া হল, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চতর স্টাডিজ সোসাইটি মোসলেম উদ্দিনকে তার অসামান্য সাফল্যের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে । মোসলেম উদ্দিন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের তুলান বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত গণিতে বহুল আকাঙ্ক্ষিত পিএইচডি গবেষণার যোগ্যতা-অর্জন করেছেন। আমরা আপনার কৃতিত্বের জন্য গর্বিত এবং আপনার সুন্দর আগামীর জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি। আমরা আশা করি এটিই ভবিষ্যতের সফল জীবনের শুরু মাত্র। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে এ গৌরব এনে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ” চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মোসলেম উদ্দিনের ফলাফল ঈর্ষনীয়। স্নাতকে সিজিপিএ: ৩.৭৫ / ৪.০০ সহ ডিস্টিংশন এবং মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন৷ স্নাতকোত্তরে ফলিত গণিত (থিসিস গ্রুপ) থেকে জিপিএ ৪.০০ / ৪.০০ (ডিস্টিংশন সহ এবং মেধাক্রমে প্রথম স্থান।)। এই ফলাফলের জন্য সে এএফ মজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদকের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হন। এছাড়া তার আইইএলটিএস স্কোর ৭.০০।
মোসলেম উদ্দিন তুলানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আরো তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি/মাস্টার্স করার সুযোগ যোগ্যতা অর্জন করেছেন। সেগুলো যথাক্রমে ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা, ওয়েনি স্ট্যাট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা।
মোসলেম উদ্দিন খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের স্কুল শিক্ষক মরহুম মাস্টার বদর উদ্দিন এবং শামীম জাহান বেগমের সন্তান। শিক্ষাজীবনের শুর থেকে মেধা আর পরিশ্রমের স্বাক্ষর রেখে আসছেন। প্রাথমিকে, নিম্ন মাধ্যমিকে পেয়েছেন সরকারি বৃত্তি। পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও এইচএসসির পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু। এবং আজকের এই অর্জনের গল্প নিজ জনপদে সবার মুখে মুখে।
এমন অভাবনীয় সাফল্যের খবর নেয়ার জন্য ফোন করেছিলাম তার মুঠোফোনে। সংক্ষেপে জানালেন গৌরবময় যাত্রার সারবত্তা।
“আমি বিদেশী পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওয়েবসাইটে নজর রাখতাম, এবং তুলানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করি, তারা আমার প্রোফাইল দেখে সন্তুষ্ট হয়, আমি আবেদন করি, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর আমার সাক্ষাৎকার গ্রহন করে এবং তারা আমাকে ফুল ফান্ডেড গবেষনার প্রস্তাব দেন । এই হল সংক্ষেপে আমার আজকের গল্প। আর আমার আজকের এই অর্জনের জন্য কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করছি
অনুপ্রেরণার প্রাথমিক উৎসাহ আমার বাবা, মা এবং স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের প্রতি “
প্রিয় পাঠক, আজ রাত ১০.০০ টায় এই মেধাবী সন্তান বাঁশখালী এক্সপ্রেসের নিয়মিত আয়োজন “প্রজন্ম এক্সপ্রেস” এর বিশেষ পর্বে সরাসরি যুক্ত হবেন, তাকে শুনতে বাঁশখালী এক্সপ্রেসের ফেসবুক পেইজে নজর রাখুন। বাকি কথা সরাসরি অনস্ক্রিনে হবে।