এক সময়ের জনপদ পালংকী, যেখানে একটি প্রসিদ্ধ বাজার ছিল যে বাজার ব্রিটিশ কূটনীতিক ক্যাপ্টেন হিরাম এর কল্যাণে হয়ে যায় হিরাম কক্সের বাজার। ৫ এপ্রিল সেই হিরামের হাটেই বসে নতুন আরেক হাট। বাঁশখালীবাসীর হাট। বাঁশখালীর অধিবাসীদের মধ্যে যাঁরা পেশাগত কারনে কিংবা স্থায়ীভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বসবাস করছেন তাঁদের নিয়ে গঠিত হয়ে গেল বাঁশখালী সমিতি, কক্সবাজার। পারস্পরিক সহযোগিতা, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বিনিময়, বাঁশখালীর উন্নয়নে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করল বাঁশখালী সমিতি, কক্সবাজার।
গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) শহরের একটি অভিজাত হোটেলে সমিতির ইফতার মাহফিল শেষে কার্য নির্বাহী কমিটির ঘোষণা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) কক্সবাজার জেলা মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী। ৩১ বিশিষ্ট বাঁশখালী সমিতি কক্সবাজার’র পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাহজাহান এবং সাধারণ সম্পাদক হোটেল গোল্ডেন হিলের চেয়ারম্যান মো: শাহেদ আলী। কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি (১) জসিম উদ্দিন চৌধুরী, (২) মো: আকতার জাবেদ, (৩) মো: শহিদুল আজম, (৪) এডভোকেট আবদুল আলীম, (৫) কাইছার হামিদ, যুগ্ম সম্পাদক (১) মো : হোসাইন (২) সুলতান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক তাজুল ইসলাম চৌধুরী পলাশ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো: আহসান উল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইমন চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো: নেজাম উদ্দিন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম রানা, মহিলা সম্পাদিকা খালেদা খানম, মানব সম্পাদক ও উন্নয়ন সম্পাদক রায়হান ইবনে সুলতান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল হক চৌধুরী, যোগাযোগ সম্পাদক শাহেদ হোসাইন চৌধুরী। সদস্য যথাক্রমে আরিফুর রহমান, মিশফাক উদ্দিন চৌধুরী, মহিউদ্দিন চৌধুরী, আবছার উদ্দিন, জহির উদ্দিন মো: বাবর, মো: গোলাম মোস্তফা, মো: বেলাল, আবদুর রহিম, মঈন উদ্দিন রানা ও হাফেজ মো: শাহনেওয়াজ প্রমুখ ।
বাঁশখালীবাসীর এই মিলনমেলায় বক্তারা তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। এতে
আলোচনায় নব-নির্বাচিত কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, সকল পেশায় কর্মরতদের নিয়ে নতুন কমিটি হয়েছে। এটি অবশ্যই আনন্দের। আমরা যাঁরা সরকারি চাকুরী করি তারা নির্দিষ্ট একটি সময়ে অন্য কোনো জায়গায় পোস্টিং হয়ে যাবো। আপনারা যারা কক্সবাজারে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন তাদেরকে কমিটির দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা যে যেখানে থাকিনা কেন, সেখান থেকে সহযোগিতা করবো। আমার বিশ্বাস আপনাদের হাত ধরে এই সমিতি একদিন অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ট্রাফিক) বলেন, কক্সবাজারে অনেক বাঁশখালীর মানুষ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। এছাড়া পর্যটন শহর কক্সবাজারে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে যাঁরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু, সকলের সাথে পরিচয় ও সম্পর্ক তৈরিতে একটি সমিতি খুবই প্রয়োজন ছিল। অবশেষে আমরা করতে পেরেছি। এই কমিটি একদিন অনেক বড় হবে।
অনুভূতি ব্যক্ত করে নতুন কমিটির দায়িত্ব পাওয়া গণপূর্ত বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাহজাহান বলেছেন, আমার উপর আপনারা যে আস্থা রেখেছেন, আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা ও নতুন কমিটি এগিয়ে যাওয়ার পেছনে যা যা করার তা-ই করবো।