বাঁশখালীর রত্নপুর গ্রামের কৃতি সন্তান হামিদুর রহমান (ওয়াহিদ হামিদ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ৫ মার্চ, ২০২৪ তারিখে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। জনাব হামিদ রত্নপুর গ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম মাস্টার ছাবের আহমদ এর কনিষ্ঠ সন্তান এবং কলামিস্ট, শিক্ষা সংগঠক মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ ভাই।
শিক্ষা জীবনের মেধার সাক্ষর নিয়ে গেছেন পেশাগত জীবনেও। বাহারচরা রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি,
বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে রেকর্ড সংখ্যক নাম্বার নিয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি । ২০১৪ সালে ৩৩ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান । Appeared certificate দিয়ে বিসিএসে অংশগ্রহণ। অর্থাৎ স্নাতকোত্তর ফলাফলের আগেই বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নির্বাচিত হন। সেটিই ছিল চাকুরী জীবনের তাঁর প্রথম প্রিলি,প্রথম লিখিত ও প্রথম ভাইভা।
৩৩ তম বিসিএস যুদ্ধে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৪ সালে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি),সিংগাইর, মানিকগঞ্জ জেলায় পদায়ন, পরবর্তীতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মুন্সিগঞ্জ সদরে যোগদান। সেখান থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ঘিওর,মানিকগঞ্জ যোগদান করেন। পরবর্তীতে উপপ্রধান হিসেবে,বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন যোগদান করেন। সর্বশেষ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ জেলায় নিযুক্ত হলেন।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বাঁশখালীবাসী অদূরভবিষ্যতে আরো একজন সচিব পেতে যাচ্ছে। জনাব হামিদের কাছে একটিই প্রত্যাশা তিনি যেন শিকড়ের খবরাখবর রাখেন, আরো হামিদুর রহমান উঠিয়ে আনতে সাধ্যমত চেষ্টা করবেন। যেমনটি বর্তমানে করছেন। এলাকার সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষার উন্নয়নে তিনি নেপথ্যে থেকে ভূমিকা রাখছেন।