• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
আইসিবিআই ব্যাংকের এসভিপি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান হলেন বাঁশখালীর মান্নান আশরাফ ফকির হত্যা: অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা, স্ত্রী-ছেলে কারাগারে হাটহাজারীর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিশ্ব মঞ্চে মোহাম্মদ ইকবাল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেড় বছরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে : আমীর খসরু ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় বাঁশখালীর যুবকের মৃত্যু বিএনপির প্রার্থী তালিকায় অনুপস্থিত শীর্ষ নেতারা এনসিপির দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হলেন বাঁশখালীর মিশকাত বাঁশখালী নিয়ে লেয়াকত আলীর ধারাবাহিক লেখনী ভাইরাল হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন কঃ – প্রেমের বাদশাহর রাজকীয় উপাখ্যান বাঁশখালীতে গণঅধিকারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফাইটার দিদার ; শ্রবণ ও বাক শক্তি বঞ্চিত হয়েও এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৭১

রহিম সৈকত / ২২ শেয়ার
আপডেট: বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

চেহেরা শারীরিক গঠন দেখে বুঝার উপায় নেই মায়া কাড়া ছেলেটি শ্রবণ ও বাক শক্তি বঞ্চিত। চার পাশের এত হইচই হচ্ছে সে জানেইনা কিংবা যা দেখছে যা অনুভব করছে বলতে পারেন না। এমন মানুষদের আমাদের সমাজ নাম দিয়েছে প্রতিবন্ধী। কিন্তু আমরা বলি ফাইটার বা যোদ্ধা। বিষয়টি পুরোপুরি বুঝার এক বছরের জন্য আমাদের কান পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারি, জবান বন্ধ করে দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করলেই আমরা বুঝতে পারব জীবনের মানে, তার সংগ্রামের চিত্র। তাই দিদার তার জীবন যুদ্ধে একজন যোদ্ধা।

দিদারুল আলম বাঁশখালী উপজেলার বাহারচরা ইউনিয়নের দক্ষিণ রত্নপুর গ্রামের মনির আহমদ ও মৃত মর্তুজা বেগম এর সন্তাব। চট্টগ্রাম মুরাদপুর ব্যাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ইস্কুল থেকে ৭ম শ্রেণী পযন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যায়। এরপর রত্নপুর এর কৃতি সন্তান হামিদুর রহমান (ওয়াহিদ) (তৎকালীন এসিলেন্ড, মানিকগঞ্জ সিঘাইর উপজেলায়) দিদারকে ঢাকা মিরপুর ১৪ সমাজ সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত প্রতিবন্ধী স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন। সেখান থেকে সেই সাথে দিদারের স্বপ্ন একটু একটু এগিয়ে যেতে থাকে, সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় সে সাত বিষয়ে এ+ পেয়েছে। তার মধ্যে বিজনেস ম্যাথম্যাটিকস ও স্ট্যাটিসটিকস, ইংলিশ, বিজনেস ইংলিশ, প্রিন্সিপল এন্ড প্র‍্যাকটিকাল একাউন্টটিং, ডিজিটাল টেকনোলজি ইন বিজনেস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেইনিং, এইচআরএম বিষয় অন্যতম।

দিদারের ভাই মো. দেলোয়ার বলেন, আজ মা বেঁচে থাকলে অনেক বেশি খুশি। দিদারকে নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ছিল মায়ের। অনেক খুশি হত। ভাইয়ের জন্য যেখানে যেখানে দৌঁড়ানো দরকার দৌঁড়েছি আমার ভাইও তা সাধ্যের সবটুকু দিয়েছে। দোয়া করবেন সে যেন বড় হয়ে এমন শারীরিক চ্যালেঞ্জিং মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দীন বলেন, সে আমার এলাকার ছেলে। বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে সে কথা বলতে পারেনা, কানেও শুনেনা এরপরেও সে এত ভাল রেজাল্ট করবে আমরা ভাবতে পারিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ
সিবি হসপিটাল কী? কেন? কিভাবে?