-
প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আগ্রহী ওয়াশিংটন ডিসি।
-
পাচার করা সম্পদ ফেরত আনতে সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন যাতে দেশের পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন এবং চুরি হওয়া সম্পদ ফেরত আনা যায়।
একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মার্কিন প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি হাউস যমুনায় তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নে এই সহায়তা প্রার্থনা করেন।
২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকারের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলির বর্ণনা করে এসময় বলেন,’ তার প্রশাসন দ্রুতভাবে আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করতে এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের কথা উল্লেখ আরো বলেন, ‘ছাত্ররা বাংলাদেশে নতুন আশার যুগের সূচনা করেছে। এটি আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’
প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা নেওয়া সংস্কার উদ্যোগগুলির একটি রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, তার সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে, ভোট জালিয়াতি রোধ, বিচার বিভাগ, পুলিশ, সিভিল প্রশাসন, দেশের দুর্নীতি-দমনে রাষ্ট্রীয় সংস্থার সংস্কার এবং সংবিধান সংশোধনের প্রচেষ্টা হিসেবে।
তিনি বলেন, তার সরকার পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের দ্বারা পাচার করা চুরি হওয়া সম্পদ ফেরত আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার চ্যালেঞ্জ বর্ণনা করতে গিয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, “আমরা দুর্নীতির একটি মহাসাগরে ছিলাম,”
মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব, ব্রেন্ট নাইম্যান, তিনি অধ্যাপক ইউনুসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন,’ ওয়াশিংটন ডিসি তার সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত থাকবে।”
প্রতিনিধি দল বলেন, ‘তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আগ্রহী।’
প্রায় ঘণ্টা ব্যাপি আলোচনায়, ‘ আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম বিষয়, রোহিঙ্গা সংকট এবং প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের জন্য নিউ ইয়র্কে আসন্ন সফর নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লু, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী সচিব, ব্রেন্ডন লিঞ্চ, সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি আঞ্জলি কউর, ডেপুটি সহকারী প্রশাসক জেরোড মেসন, মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি লুৎফি সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব এবং এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকীও মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।