দিনটি ছিল ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। ১ম শ্রেণিতে মাত্র ভর্তি হই ।আামার দাদা মাষ্টার মাহফুজ স্যার সেদিন ক্লাস নিতে আসেন। স্যার ক্লাসে এসে কি যেন লিখতে বলেছিলেন। আমি সবার আগে ক্লাস ওয়ার্ক করে জমা দিয়ে দিই। স্যার ২০০ জন ছাত্র ছাত্রীর সামনে আমাকে দাড় করিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়। শিক্ষা জীবনের প্রথম দিকে স্যার আমাকে শতশত ছাত্র ছাত্রীর কাছে হিরো বানিয়ে দেয়। নতুন ক্লাসে নতুন হিরো হয়ে গেছিলাম সেদিন।
সেই থেকে ৫ ম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস রোল নং ১ দিয়ে শেষ হয়। ৩ য়, ৪র্থ, শ্রেনীতে থানা শিক্ষা বৃত্তি পেলাম। এরপর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এর ধারাবাহিকতা থাকে। যদিও রোল নং ০২ ছিল। ৬ ষষ্ঠ হতে ৯ ম শ্রেণী পর্যন্ত মেধাবৃত্তি পেলাম। যার অনুপ্রেরণা সেই ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাস। এসএসসির এ প্লাস, এইসএসসিতে বোর্ড প্লেস, চমেকে পড়া, সব কিছুর পিছনে সেই দিনটির অনুপ্রেরণা।
মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর স্যার নিজে আমাকে বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায়।
গত ঈদুল ফিতরের সময় আইয়ুব চাচার বাসায় গিয়ে স্যারকে চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। জানি না স্যারকে তুষ্ট করতে পেরেছিলাম কিনা। কিছু দিন আগে স্যার সুস্থ থাকার সময় আমাকে ফোন দিয়ে অনুরোধ করেন ওনার চাচাতো ভাই বাঁশখালী মেডিকেলে ভর্তি। আমি যেন নিজে গিয়ে ওনার চিকিৎসা করি। আজ স্যার চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে। আমার মত হাজারো ছাত্র – ছাত্রীর জীবন গড়ার কারিগর সবার প্রিয় মাহফুজ স্যার। স্যারকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুক। আমিন।