রংপুরে একই সময়ে আলাদা আলাদা স্থানে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ হলেও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবেই দুই দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নগরীতে ছিল টান টান উত্তেজনা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় গণঅধিকার পরিষদ রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশ আহ্বান করলে জাতীয় পার্টিও একই দিন একই সময়ে নগরীর সেন্ট্রাল রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশ করে।
দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। লাঠি নিয়ে বেশ কয়েকটি মিছিল নিয়ে আসেন দলের নেতাকর্মীরা। বিকেল ৪টার পর পুরো এলাকা লোকারণ্য হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সড়কটি বন্ধ করে সমাবেশ করে জাতীয় পার্টি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন রংপুর সিটির সাবেক মেয়র ও দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জাপা নেতা আজমল হক লেবুসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
সভায় মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। দুই সমন্বয়কের কথায় কোনও সভায় জাপাকে ডাকা হচ্ছে না। ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়েছে। রংপুর হচ্ছে জাতীয় পার্টির দুর্গ। এখানে কারও খবরদারি আর চোখ রাঙ্গানি চলবে না- আমরা তা বরদাশত করবো না।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সমাবেশ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সমাবেশ করুক, আমাদের আপত্তি নেই। আমরা পাল্টা সমাবেশ করছি না। দলকে চাঙা রাখতে সভা-সমাবেশ করছি। এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। নুরের দল গণঅধিকার পরিষদকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না। তাদের সমাবেশ প্রতিহত করার কোনও ঘোষণা বা আহ্বান আমরা করিনি।’
মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, ‘দেশের জনগণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। আন্দোলনে আমাদের দলের দুই কর্মী শহীদ হয়েছে। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক ছিল অনেক নেতাকর্মী। আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিল- এখন আমাদের স্বৈরাচারের দোসর আখ্যায়িত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে সামনে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার যেকোনও ষড়যন্ত্র আমরা মানবো না।’