Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফাইটার দিদার ; শ্রবণ ও বাক শক্তি বঞ্চিত হয়েও এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৭১

চেহেরা শারীরিক গঠন দেখে বুঝার উপায় নেই মায়া কাড়া ছেলেটি শ্রবণ ও বাক শক্তি বঞ্চিত। চার পাশের এত হইচই হচ্ছে সে জানেইনা কিংবা যা দেখছে যা অনুভব করছে বলতে পারেন না। এমন মানুষদের আমাদের সমাজ নাম দিয়েছে প্রতিবন্ধী। কিন্তু আমরা বলি ফাইটার বা যোদ্ধা। বিষয়টি পুরোপুরি বুঝার এক বছরের জন্য আমাদের কান পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারি, জবান বন্ধ করে দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করলেই আমরা বুঝতে পারব জীবনের মানে, তার সংগ্রামের চিত্র। তাই দিদার তার জীবন যুদ্ধে একজন যোদ্ধা।

দিদারুল আলম বাঁশখালী উপজেলার বাহারচরা ইউনিয়নের দক্ষিণ রত্নপুর গ্রামের মনির আহমদ ও মৃত মর্তুজা বেগম এর সন্তাব। চট্টগ্রাম মুরাদপুর ব্যাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ইস্কুল থেকে ৭ম শ্রেণী পযন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যায়। এরপর রত্নপুর এর কৃতি সন্তান হামিদুর রহমান (ওয়াহিদ) (তৎকালীন এসিলেন্ড, মানিকগঞ্জ সিঘাইর উপজেলায়) দিদারকে ঢাকা মিরপুর ১৪ সমাজ সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত প্রতিবন্ধী স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন। সেখান থেকে সেই সাথে দিদারের স্বপ্ন একটু একটু এগিয়ে যেতে থাকে, সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় সে সাত বিষয়ে এ+ পেয়েছে। তার মধ্যে বিজনেস ম্যাথম্যাটিকস ও স্ট্যাটিসটিকস, ইংলিশ, বিজনেস ইংলিশ, প্রিন্সিপল এন্ড প্র‍্যাকটিকাল একাউন্টটিং, ডিজিটাল টেকনোলজি ইন বিজনেস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেইনিং, এইচআরএম বিষয় অন্যতম।

দিদারের ভাই মো. দেলোয়ার বলেন, আজ মা বেঁচে থাকলে অনেক বেশি খুশি। দিদারকে নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ছিল মায়ের। অনেক খুশি হত। ভাইয়ের জন্য যেখানে যেখানে দৌঁড়ানো দরকার দৌঁড়েছি আমার ভাইও তা সাধ্যের সবটুকু দিয়েছে। দোয়া করবেন সে যেন বড় হয়ে এমন শারীরিক চ্যালেঞ্জিং মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দীন বলেন, সে আমার এলাকার ছেলে। বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে সে কথা বলতে পারেনা, কানেও শুনেনা এরপরেও সে এত ভাল রেজাল্ট করবে আমরা ভাবতে পারিনি।

আরও পড়ুন  বন্ধ হচ্ছে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি মোবাইল