Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাঁশখালী উপকূল রক্ষায় প্যারাবন ও সামুদ্রিক ঘাসের ভুমিকা

পারভেজ উদ্দীন চৌধুরী ▪️

বছর দশেক আগেও এখানে (বাঁশখালী উপকূলের রত্নপুর পয়েন্টে) সমুদ্রের ভাঙ্গনের ফলে ঝাউবন থেকে শুরু করে ক্ষেতের ও ফসলের অনেক জমি সমুদ্রে হারিয়েছি। পাহাড়ের মতো বড় বড় সব বালির বাধ সহ মাছের ঘোনার অনেক জমি বিলীন হয়েগিয়েছে সমুদ্রে।

সামুদ্রিক ঘাস (সল্ট মার্স) ও প্যারাবন এখন যেভাবে হারিয়ে যাওয়া এলাকা পুনরুদ্ধার করে চলছে — এটা একটা অসাধারণ উদাহরণ যে উপকূল রক্ষায় ট্রেডিশনাল যেসব হার্ড সলুশান আপ্লাই করা হয় সেসব থেকে এই নেচার-বেসড সলুশান অনেক বেশি কার্যকর। উপকুলের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষার জন্য বাঁধের পাশাপাশি এই সমাধানের কোন বিকল্প নেই।

তবে এসব সফট সলুশান সাফল্যের মুখ দেখে না যদি স্থানীয় মানুষ এটার গুরুত্ব না বুঝে ও সম্পৃক্ত করা না যায়। এই ঘাস ও প্যারাবন ও আরো উপরে ঝাউবন বিকাশিত হওয়ার পিছনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন এলাকার শিক্ষিত সচেতন অনেক ব্যাক্তিবর্গ। এসবের পক্ষে দাড়াতে গিয়ে নিজের গোত্রের লোকজনের শত্রু হয়েছেন এমনও আছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তার উপর গবেষণা বলছে বঙ্গোপসাগরে এর মাত্রা পৃথিবীর অন্য সব সাগরের তুলনায় বেশি।

তাই নিজেদের ভিটেবাড়ি নিয়ে বাচতে হলে এখনি এই প্যারাবন সহ উপকূলের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

আরও পড়ুন  একুশে ফাউন্ডেশন এর ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান সম্পন্ন